করোনা পরিস্থিতিতে আজ ফের মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও। এ নিয়ে করোনা আবহে পঞ্চমবার মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে একদিনে দেশে সর্বাধিক করোনা সংক্রমণের নজির। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন ৪,২২৩ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতে মোটা করোনা পজিটিভ বেড়ে হয়েছে ৬৭,১৫২ জন। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৪৪,০২৯। সুস্থ হয়েছেন ২০,৯১৭ জন। করোনার জেরে এখনও পর্যন্ত এ দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ২,২০৬। চলতি মাসের শুরু থেকেই সংক্রমণের হার ঊর্ধবমুখী। সংক্রমণের এই বৃদ্ধি সরকারি অনুমানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্র অনুমান করেছিল ১৫ মে পর্যন্ত ভারতে করোনা পজিটিভ হতে পারে প্রায় ৬৫ হাজার।
দেশে আশাতীত ভাবে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই প্রেক্ষাপটে এবার হোম আইসোলেশনে যারা রয়েছেন তাঁদের জন্য নয়া নির্দেশিকা আনল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন ক্ষেত্রে হোম আইসোলেশনের পর আর করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছে তাঁরা।
গোটা বিশ্বে ৪০ লাখের বেশি মানুষ ভয়ঙ্কর ভাইরাসে আক্রান্ত। মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজারের বেশি। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিকত তথ্য অনুসারে আমেরিকায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ কোভিড পজিটিভ ও মৃত্যু হয়েছে ৭৯,১০০ জনের।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
আজমের ফেরত মালদার ৭ তীর্থযাত্রীর দেহে ধরা পড়ল করোনা জীবাণু। এছাড়া রাজস্থানের কোটা থেকে হাওড়ার সাঁকরাইল ফেরত এক পড়ুয়াও করোনা পজিটিভ। মালদার এই সাত করোনা আক্রান্তই হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের বাসিন্দা।
করোনা পরিস্থিতিতে আজ ফের মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শেষ খবর অনুয়ায়ী, ইতিমধ্য়েই শুরু হয়েছে ভিডিও কনফারেন্স। মোদীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে কোনও ব্যক্তির দেহে করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা দিলে ১৭ দিনের হোম আইসোলেশনে থাকার পর এবং ১০ দিন জ্বর না আসলে সেক্ষেত্রে তাঁকে আর করোনা পরীক্ষা করাতে হবে না। রবিবার জারি করা সংশোধিত নির্দেশিকা অনুসারে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের আর পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে যে রোগীর স্বাস্থ্যর পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে জেলা প্রশাসন। রোগীর শারীরিক অবস্থার খবরও জানাতে হবে তাঁদেরকে। যারা এই সমস্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসবেন তাঁদের প্রত্যেককেই প্রতিষেধক হিসেবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনাইন খেতে হবে।
হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীর জ্বর বা অন্যকোনও শারীরিক অসুবিধা না থাকলে আর করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। ১৭ দিন পর হোম আইসোলেশন থেকে মুক্ত হওয়া যাবে। রবিবার নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
করোনা পরীক্ষা নিয়ে শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জারি করা হল নয়া নির্দেশিকা। দেশের কোভিড পরীক্ষার চাহিদা কমাতে জ্বর, সর্দিকাশির মতো মৃদু উপসর্গ থাকলে রোগীকে করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।
কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, হাওড়া ও হুগলিতে তুলনামূলক ভাবে অন্য জেলাগুলির তুলনায় করোনা আক্রান্তের বৃদ্ধির হার অনেকটাই বেশি। তবে অনেকটা স্বস্তিতে রেড জোন বলে ঘোষিত পূর্ব মেদিনীপুর। সরকারি তথ্য অনুযায়ী রবিবার পর্যন্ত মহানগরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪৮। সাত দিন আগে এই সংখ্যাটা ছিল ৬৫৯। এদিকে হাওড়া ও হুগলিতে করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝাড়গ্রাম ও উত্তর দিনাজপুরেও নতুন করে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এখনও রাজ্যের পাঁচ জেলা করোনামুক্ত রয়েছে।
রাজ্য় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী হাওড়া ও হুগলিতে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি। একদিনে হাওড়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ জন। শনিবার ছিল ৩৭০ জন। রবিবার তা দাঁড়িয়েছে ৪১৭-এ। যেখানে সাত দিন আগে সংখ্যাটা ছিল ২৪১। অন্য দিকে হুগলিতেও পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। সেখানে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৯ জন। শনিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭১। রবিবার ওই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ১২০-তে। ওই জেলায় ৪ মে সংখ্যাটা ছিল ৪১। স্বভাবতই রাজ্য প্রশাসন এই দুই জেলা নিয়ে চিন্তিত। এই দুই জেলায় ক্রমশ কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও বাড়ছে।
আগামিকাল থেকে ৩০টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। এই ট্রেনগুলিতে সংরক্ষণের জন্য ১১ মে বেলা ৪টে থেকে শুরু হবে বুকিং। কেবল আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে https://www.irctc.co.in/ -এই পাওয়া যাবে টিকিট। স্টেশনের টিকিট কাউন্টারগুলি বন্ধই থাকবে। কোনও প্ল্যাটকর্ম টিকিট দেওয়া হবে না।
রেল জানিয়েছে, এই ট্রেনে য়াত্রার জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে রাজধানী এক্সপ্রেসের হারে ভাড়া দিতে হবে। প্রতিটি ট্রেনই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে। ট্রেন ভাড়ায় কোনও ছাড় মিলবে না।
করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে বন্ধ হয়েছিল রেল পরিষেবা। প্রায় ৫০ দিন দেশের এই সর্ববৃহৎ যোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ থাকার পর অবশেষে ধীরে ধীরে চালু করা হচ্ছে রেল পরিষেবা। জানা গিয়েছে ১২ মে থেকে ১৫ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে।
কোথায় কোথায় চালু হচ্ছে এই পরিষেবা?
নিউ দিল্লি থেকে ডিব্রুগড়, আগরতলা, হাওড়া, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকনদরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, থিরুভন্তপুরম, মুম্বাই, আহমেদাবাদ এবং জম্মু তাওয়াই-এ চলবে ট্রেন। সূত্রের খবর, সূত্র জানায়, শনিবার সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে রাজ্যের বৈঠকের পর রবিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়। বাকি পদক্ষেপও ঠিক করা হয় রবিবার। পড়ুন বিস্তারিত
রেলপথ ও সড়ক ধরে যেন পরিযায়ী শ্রমিকরা না হাঁটেন। তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যগুলিকে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন। ওই চিঠিতে উল্লেখ, রেল ট্র্যাক বা রাস্তা দিয়ে কোনও পরিযায়ীকে হাঁটতে দেখা গেলে তাঁদের আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। এছাড়াও বলা হয়েছে, পরিযায়ীদের ঘরে ফেরাতে আরও শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলবে। তার জন্য রাজ্যগুলো যেন প্রয়োজনীয় অনুমতি দেয়।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফেরার পথে ক্লান্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা রেল লাইনেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ভোরে মালগাড়ি তাদের পিষে দিয়ে চলে যায়। প্রাণ হারান ১৬ জন। আগামিকাল থেকে চালবে যাত্রীবাহী ১৫ জোড়া ট্রেন। যাত্রাপথে বিপত্তি এড়াতেই এ দিনের এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের পঞ্চম ভিডিয়ো বৈঠকেই চূড়ান্ত হতে পারে লকডাউনের ভবিষ্যৎ। তার আগে, গতকালই রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব। সেখানে রাজ্যগুলিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে। অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীও এদিনের বৈঠকে অর্থনৈতিক স্বার্থে শিল্পক্ষেত্রে বিধিনিষেধ ছাড়ের পক্ষে সওয়াল করবেন বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ, এদিনের মোদী-মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে মূলত অর্থনীতির গতি ফেরানোই অন্যতম বিষয় হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পড়ুন বিস্তারিত
চলতি মাসের শুরু থেকেই সংক্রমণের হার ঊর্ধবমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতে মোটা করোনা পজিটিভ বেড়ে হয়েছে ৬৭,১৫২ জন। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৪৪,০২৯। সুস্থ হয়েছেন ২০,৯১৭ জন। করোনার জেরে এখনও পর্যন্ত এ দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ২,২০৬।