করোনা রুখতে প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য় ২১টি হাসপাতালকে অনুমোদন দিল আইসিএমআর, স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের তরফে একথাই এদিন জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ৩৯০ কোভিড ১৯ কেসের হদিশ মিলেছে। সবমিলিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ৫৬ হাজার ৩৪২। করোনায় দেশে মৃত বেড়ে হয়েছে ১৮৮৬। ভারতে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৩৯ জন। গত ২৮ দিনে ৪২টি জেলা থেকে নতুন করে কোনও সংক্রমণ হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
আরব আমিরশাহীর পর সিঙ্গাপুরে আটক ভারতীয়দের বিশেষ বিমানে দেশে ফেরানো হল। এ দিন সকাল ১১.৫৬ নাগাদ বিশেষ উড়ানটি দিল্লি পৌঁছায়। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন সিঙ্গাপুর থেকে ২৩৪ জন দেশে ফিরেছেন। এর আগে আবু ধাবি ও দুবাই থেকে প্রথম দফায় দুটি বিশেষ বিমানে করে কেরালায় ফিরিয়ে আনা হয় ৩৬৩ জন ভারতীয়কে।
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৯। আরও ৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলায় করোনায় চিকিৎসাধীন ১,১০১। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১,৫৪৮। সুস্থ হয়েছেন ২৯৬ জন।মহামারীর জেরে বিশ্বজুড়ে করোনা পজেটিভ ৩৮,১৫,৫৬১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২,৬৬,৪৭৯ ও মৃত ২,৬৭৭,৪৬৯ জন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য়ের ভূমিকার সমালোচনা করে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। চিঠিতে অজয় ভাল্লা লিখেছেন, ”বাংলায় করোনায় মৃত্যুর হার ১৩.২ শতাংশ, যা অন্য রাজ্যের মৃত্যুর হারের তুলনায় বেশি। নজরদারি ও চিহ্নিতকরণের অভাবের জেরেই এমনটা হয়েছে। জনবহুল এলাকায় আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে”। তিনি আরও লিখেছেন, ”কলকাতা ও হাওড়ায় লকডাউন অমান্য করা হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী কিছু এলাকায় লকডাউন ভেঙেছে। ওই এলাকায় পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। লকডাউন কঠোরভাবে পালন করতে হবে”।
করোনা রুখতে প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য় ২১টি হাসপাতালকে অনুমোদন দিল আইসিএমআর, স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের তরফে একথাই এদিন জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ৩৯০ কোভিড ১৯ কেসের হদিশ মিলেছে। সবমিলিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ৫৬ হাজার ৩৪২। করোনায় দেশে মৃত বেড়ে হয়েছে ১৮৮৬। ভারতে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৩৯ জন। গত ২৮ দিনে ৪২টি জেলা থেকে নতুন করে কোনও সংক্রমণ হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। গোটা দেশের সব স্তরের প্রশাসনকে সমান গুরুত্ত্ব দেওয়া উচিত কেন্দ্রের। তবেই সমস্যার সমাধান হবে। এমনটাই দাবি করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এদিন ভিডুয়ো কনফারেন্সে তিনি বলেন, 'আমরা যদি লড়াই শুধু প্রধানমন্ত্রীর দফতরেই আটকে রাখি তবে পরাজয় হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উচিত সবাইকে ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া।তাঁর নিজস্ব ধরনে তিনি কাজ করছেন। কিন্তু এটা অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। আমাদের শুধু একজন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী নয়, অনেক শক্তিশালী নেতা চাই। আমাদের শক্তিশালী মুখ্যমন্ত্রী, শক্তিশালী জেলাশাসক চাই। পঞ্চায়েত স্তর, জেলা স্তরের প্রশাসনের সাহায্যেই আমরা এই সংক্রমণকে থামাতে পারি। জাতীয় স্তরে লড়াই করে করোনাকে হারানো অসম্ভব।'
পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরানো নিয়েও বিরোধী নিশানায় মমতা সরকার। তোষণ রাজনীতিকে সামনে রেখেই এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরানো হচ্ছে বলে দাবি বিজেপির। লকডাউনে অসহায় পরিযায়ীদের ফেরাতে রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত আবেদন করছে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। পাল্টা গেরুয়া শিবিরকে বিঁধে তৃণমূলের কটাক্ষ, বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি মোদী সরকার। পড়ুন বিস্তারিত
লকডাউনে মদের হোম ডেলিভারি বিবেচনা করার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। করোনাভাইরাস রোধে যোগাযোগ এড়িয়ে কীভাবে মদ বিক্রি করা যায় রাজ্যগুলির ভেবে দেখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে হোম ডেলিভারি খুবই কার্যকর বলে মনে করছে সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, 'কোনও নির্দেশ জারি করা না হলেও সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে রাজ্যগুলির মদের হোম ডেলিভারির বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।' পড়ুন বিস্তারিত
হোয়াইট হাউসের অন্দরমহলে পৌঁছে গিয়েছিল করোনার থাবা। একজন কর্মী মারণ ভাইরাসের কবলেও পড়েন। তারপরেই তড়িঘড়ি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনসের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেই পরীক্ষায় স্বস্তি জুগিয়ে দুজনেরই নমুনা নেগেটিভ এসেছে।
ওভাল অফিসে টেক্সাসের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তিনি। নিজের ভাইরাস পরীক্ষার কথা বলেন এরপরেই।
ঘটনাচক্রে মাইক পেন্স তো বটেই ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো মাস্ক ছাড়াই সেই বৈঠক করেছিলেন। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাঁদের সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের নিয়মিত পরীক্ষাও করা হচ্ছে। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বারেবারেই উঠে এসেছেন ওয়েস্ট উইংয়ের কর্মী, সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট এবং অতিথিরা। মাস্ক না পড়ার কারণে। পড়ুন বিস্তারিত
সিঙ্গাপুরে আটক ভারতীয়দের বিশেষ বিমানে দেশে ফেরানো হল। এ দিন সকাল ১১.৫৬ নাগাদ বিশেষ উড়ানটি দিল্লি পৌঁছায়। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন সিঙ্গাপুর থেকে ২৩৪ জন দেশে ফিরেছেন।
বন্দে ভারত মিশনে আজও বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হবে। জানা গিয়েছে, বাহারিন থেকে কোচি, দুবাই থেকে চেন্নাই, সিঙ্গাপুর থেকে দিল্লি, সৌদি আরব থেকে কালিকট ও বাংলাদেশ থেকে এদেশে বিশেষ উড়ানে ভারতীয়রা ফিরবেন।
এর আগে আবু ধাবি ও দুবাই থেকে প্রথম দফায় দুটি বিশেষ বিমানে করে ফিরিয়ে আনা হল ৩৬৩ জন ভারতীয়কে।
আসামে আরও ৮ জনের শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে। কাছার ও গুয়াহাটিতে ৪ জন করে করোনায় আক্রান্ত। এদের মধ্যে একজন ভিন রাজ্য থেকে আসামে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে, সেই ব্যক্তি হোম কোয়ারিন্টিনে ছিলেন।
আসামে কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৩ জন। এদের মধ্যে ৩৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আবু ধাবি ও দুবাই থেকে প্রথম দফায় দুটি বিশেষ বিমানে করে ফিরিয়ে আনা হল ৩৬৩ জন ভারতীয়কে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়ান আবু ধাবি থেকে যাত্রীদের নিয়ে কোচিতে পৌঁছেছে। অন্যটি, দুবাই থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করে কোঝিকোড়ে পৌঁছে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে নামার পরে প্রত্যেক যাত্রীর স্ক্রিনিং ও অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়। তাঁদের সাতদিনের জন্য কোয়ারেন্টিইন সেন্টারে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
বিদেশমন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল, লকডাউনের জেরে বহু ভারতীয় বিদেশে আটকে পড়েছেন। প্রায় ১৫ হাজার ভারতীয়কে ১২টি দেশ থেকে ৬৪ উড়ানে দেশে ফেরানো হবে। ৭ই মে থেকে আগামী এক সপ্তাহ ধরে এই কাজ চলবে। ভারতীয়দের বিদেশে ফেরাতে ব্যবহার করা হবে বেশ কয়েকটি নৌ সেনার জাহাজও।
করোনার জেরে ভারতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। মোট মৃত ১,৮৮৬ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থা মহারাষ্ট্রের। এই রাজ্যে করোনার বলি ৬৫১ জন। এরপরই রয়েছে গুজরাট ও দিল্লি।
দেশে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৫৬,৩৪১ জন। এখনও পর্যন্ত অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৩৭,৯১৬। শুক্রবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে করোনার জেরে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের।মোট মৃত ১,৮৮৬ জন।