করোনায় দেশীয় ভ্য়াকসিন বানাতে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে হাত মেলাল আইসিএমআর। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে গোটা দেশ। রোজই বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে করোনার ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় বসে গোটা দুনিয়া।
এদিকে উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারতে রেকর্ড হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমিত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৩২০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। এ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে ভারতে করোনা মোট আক্রান্ত ৫৯,৬৬২ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১,৯৮১ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরতের সংখ্যা ১৭,৮৪৭। বন্দে ভারত মিশনে শনিবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহর থেকে দেশে ফেরানো হল ১২৯ জনকে। এছাড়াও দুবাই, ম্যাসকট থেকেও ফেরানো হচ্ছে ভারতীয়দের। ইতিমধ্যেই ৬টি উড়ানে দেশে ফিরেছেন বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া ভারতীয়রা।
পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে রাজ্যের বিরুদ্ধে 'অসহযোগিতা'র অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চিঠিতে তিনি লেখেন, 'ঘরে ফিরতে মুখিয়ে রয়েছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। কিন্তু তাদের বাড়ি ফেরা প্রসঙ্গে বাংলা সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। রাজ্যে ট্রেন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এটা বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি অবিচার।'
অন্যদিকে, করোনার কোপে বিশ্ব অর্থনীতিও। কাজের জন্য সেদেশে যাওয়ার ভিসা দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করল আমেরিকা। সেদেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ। গোটা পৃথিবীজুড়ে করোনার বলি প্রায় ২,৭২,৫৭৮ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৯০৭,০৫৫ জন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
ওড়িশা হাইকোর্ট মঙ্গলবার নির্দেশ দেয় কোভিড-১৯ নেগেটিভ হলে অর্থাত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলে তবেই রাজ্যে ফিরতে পারবেন পরিযায়ী মানুষেরা। ওড়িশা আদালতের সেই নির্দেশেই সায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা এবং আইনজীবী কানু আগরওয়াল শীর্ষ আদালতে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রক পরিযায়ী মানুষদের তাদের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তবে কেবলমাত্র যাদের করোনার লক্ষণ নেই অথচ অন্য রাজ্যে আটকে রয়েছেন তারাই ফিরবেন।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরানো নিয়েও বিরোধী নিশানায় মমতা সরকার। তোষণ রাজনীতিকে সামনে রেখেই এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরানো হচ্ছে বলে দাবি বিজেপির। লকডাউনে অসহায় পরিযায়ীদের ফেরাতে রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত আবেদন করছে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। পাল্টা গেরুয়া শিবিরকে বিঁধে তৃণমূলের কটাক্ষ, বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি মোদী সরকার।
দেশে করোনার ভ্য়াকসিন বানাতে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে হাত মেলাল আইসিএমআর। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে গোটা দেশ। রোজই বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্য়া। এই পরিস্থিতিতে করোনার ভ্য়াকসিনে অপেক্ষায় বসে গোটা দুনিয়া।
ঢাকা থেকে দিল্লিতে ফেরা ভারতীয়দের স্ক্রিনিং টেস্ট করা হয় ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এক্সপ্রেস ফোটো- তাশি তোবজিয়াল
বন্দে ভারত মিশনে বাংলাদেশে আটকে পড়া ১২৯ জন ভারতীয়কে দেশে ফেরাল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে তাঁদের ঢাকা থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়।
লকডাউন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা মেটাতে বিরোধীদের তোপের মুখে এবার হোয়াটসঅ্যাপ এবং টোল-ফ্রি নাম্বার চালু করল মমতা প্রশাসন। বাংলায় আটকে থাকা শ্রমিক এবং ভিন রাজ্যে আটকে থাকা বাংলার শ্রমিকরা যাতে যোগাযোগ করতে পারে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। এমনকী একটি স্বয়ংক্রিয় ই-পাস সিস্টেমও চালু করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, “লকডাউন নিয়ম মেনে রাজ্যে প্রবেশ এবং প্রস্থানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অভ্যন্তরে ও বাইরে আটকে থাকা সকল ব্যক্তির সুবিধার্থে এগিয়ে বাংলা পোর্টালে http://www.wb.gov.in একটি স্বয়ংক্রিয় ই-পাস সিস্টেম তৈরি ও আপলোড করা হয়েছে। এই লিঙ্কটিতে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এবং ই-পাস ও পাওয়া যাবে।” পড়ুন বিস্তারিত
বিভিন্ন দেশ থেকে বিশেষ বিমানে দেশে ফিরছেন লকডাউনে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়রা। শনিবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে কোচিতে ফিরেছেন ভারতীয়রা। এদিন মাসকট, লন্ডন, ঢাকা ও ত্রিচি থেকে বেশ কয়েকটি বিশেষ উড়ানের এ দেশের নানা শহরে ফেরার কথা রয়েছে।
যে সমস্ত রোগীর নমুনায় খুব মৃদু, প্রাক-উপসর্গজনিত ও মাঝামাঝি মাত্রায় জীবাণু সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের ডিসচার্জের আগে নমুনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। শুক্রবার এক নির্দেশিকায় করোনা রোগী ডিসচার্জের নতুন শর্তাবলী প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেখানেই এই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।
এর আগে সরকারি নির্দেশেকায় বলা হয়েছিল যে, মৃদু, প্রাক-উপসর্গজনিত ও মাঝামাঝি মাত্রায় জীবাণু সংক্রমণের হদিশ মিললে ১৪ তম দিনে একবার এবং তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও একবার নমুনা পরীক্ষা করা আবশ্যিক। এক্ষেত্রে যদি দু'বারই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তাহলেই সেই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করা যাবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে টানা ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন টালিগঞ্জের প্রৌঢ়। শুক্রবারই দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। করোনা আবহে এই ঘটনাই আশার আলো বলে মত চিকিৎসকদের।
গত ২৯ মার্চ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন টালিগঞ্জের বছর ৫২-র প্রৌঢ়। পর দিনই তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ মেলে। ভেন্টিলেশন দিতে হয় তাঁকে। সেই থেকেই টানা ভেন্টিলেশনে ছিলেন ওই রোগী। এর মধ্যে গত ১৭ ও ১৮ এপ্রিল পর পর দুবার নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা নেগিটিভ আসে। তবে, সংক্রমণ নিরাময় হলেও শ্বাসকষ্ট ছিল। ফলে ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রাখা হয়েছিল রোগীকে। গত ২ মে পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হলে তাঁকে ধীরে ধীরে ভেন্টিলেশন থেকে বাইরে আনা হয়। শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ওই করোনাজয়ী। পড়ুন বিস্তারিত
বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে মমতা সরকার সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্য সরকারকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগ প্রসঙ্গেই সরব তৃণমূল যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, 'মিথ্যে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই সংকটের সময় কর্তব্য পালনে ব্যর্থ স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েক সপ্তাহের নীরবতা ভেঙেছেন। এমন মানুষদের কথা তিনি বলছেন যাঁরা তাঁর সরকারের উপর থেকে আস্থা হারিয়েছেন। আপনার অভিযোগ প্রমাণ করুন, নাহলে ক্ষমা চান।'
লকডাউনের মধ্যেও নির্মাণ কাজে ছাড় রয়েছে। কলকাতার আরজি কর, চিৎপুর ব্রিজ সংস্কারের কাজ চলছে। ভার লাঘবে এই ব্রিজগুলির উপর থেকে অতিরিক্ত বিটুমিন তোলার কাজ করছেন শ্রমিকরা। দীর্ঘ দিন বাদ কাজে যোগ দিয়ে খুশি শ্রমিকরা।
ছবি- শশী ঘোষ
রেশন নিয়ে যে তিনি বেজায় ক্ষুব্ধ তা দলীয় বৈঠকে আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কালীঘাটে নিজের বাসভবনের অফিস থেকে এই প্রথম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের জেলা সভাপতি ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করলেন তিনি। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে তৃণমূল নেত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি, রেশন নিয়ে কোনও বেয়াদপি বরদাস্ত করা হবে না। এর পাশাপাশি তিনি বিজেপির অপপ্রচার রুখতেও নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জনসংযোগ বজায় রেখে কাজ করতে বলেছেন দলীয় নেতা-কর্মীদের। পড়ুন বিস্তারিত
তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের বেশ কয়েকদিন অতিক্রান্ত। কিন্তু, দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। অধিকাংশ মেট্রো শহরই রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত। এই পরিস্থিতিতে বড় শহরগুলিতে রাস্তায় নেমে কাজ করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানই এখন প্রশাসনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। শুক্রবার করোনা প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগারওয়াল সতর্ক করে বলেছেন, ‘ভাইরাস নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা শিখতে হবে।’ পড়ুন বিস্তারিত
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৩২০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। এ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে ভারতে করোনা মোট আক্রান্ত ৫৯,৬৬২ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১,৯৮১ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরতের সংখ্যা ১৭,৮৪৭।
পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে রাজ্যের বিরুদ্ধে ‘অসহোযোগিতা’র অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘ঘরে ফিরতে মুখিয়ে রয়েছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। কিন্তু তাদের বাড়ি ফেরা প্রসঙ্গে বাংলা সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। রাজ্যে ট্রেন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এটা বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি অবিচার।’