বাংলায় করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় দলকে তীব্র ভাষায় নিশানা করলেন তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন। শনিবার টুইট করে ডেরেক বলেছেন, 'আইএমসিটি (কেন্দ্রের দল) মানে হল ইন্ডিয়াজ মোস্ট ক্য়ালাস টিম। আইএমসিটি-র মানে হল আই মাস্ট কজ ট্রাবল (বাংলায়)। ওদের আসল উদ্দেশ্য় হল রাজনৈতিক ভাইরাস ছড়ানো''। কেন্দ্রীয় দল বিজেপির ভাষায় কথা বলছে বলে তোপ দেগেছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্য়ের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিকে, আজও ফের রাজ্য়ের মুখ্য়সচিবকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় দল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমণের হার হাজারের বেশি, মৃত ৫২। সবমিলেয়ে ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রামিত হয়েছে ২৪,৫০৬ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০৬৩ জন। ৭২৩ থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৭৫ জন। গোটা বিশ্বে করোনা পজেটিভ ২.৭ মিলিয়ন ও মৃত ১ লাখ ৯২ হাজারের বেশি মানুষ। আমেরিকার অবস্তা ভয়াবহ। এ দেশে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ভারসের বলি। আক্রন্ত প্রায় ৯ লক্ষ।
শুক্রবার কেন্দ্র নির্দেশিকা জারি করে লকডাউনের মধ্যেও আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা করেছে। গ্রামীণ এলাকায়, ছোট বাজার ও লোকালয়ে এবার থেকে অনাবশ্যকীয় নির্দিষ্ট পণ্যের কিছু দোকান খোলা থাকবে। তবে, কোভিড কনটেইনমেন্ট অঞ্চলে এই ছাড় প্রযোজ্য হবে না। এদিকে, ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে আমেদাবাদ, সুরাট, হায়দ্রাবাদ ও চেন্নাইয়ের পরিস্থিতি। দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এবার এই চার শহরে আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানাল মোদী সরকার।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
করোনা মোকাবিলায় কলকাতা সংলগ্ন দুই জেলার পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চিন্তিত রাজ্য প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে কলকাতার পরই রয়েছে হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগণা। কলকাতা ও এই দুই জেলা ছাড়া অন্য জেলাগুলির মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাওড়া-উত্তর ২৪ পরগনার মোট সংখ্যার থেকে অনেকটাই কম। তাই দ্বিতীয় দফার লকডাউন প্রক্রিয়াকে কঠোরভাবে কাজে লাগাতে তৎপর দুই জেলার পুলিশ-প্রশাসন।
বাংলায় করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় দলকে তীব্র ভাষায় নিশানা করলেন তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন। শনিবার টুইট করে ডেরেক বলেছেন, 'আইএমসিটি (কেন্দ্রের দল) মানে হল ইন্ডিয়াজ মোস্ট ক্য়ালাস টিম। আইএমসিটি-র মানে হল আই মাস্ট কজ ট্রাবল (বাংলায়)। ওদের আসল উদ্দেশ্য় হল রাজনৈতিক ভাইরাস ছড়ানো''। কেন্দ্রীয় দল বিজেপির ভাষায় কথা বলছে বলে তোপ দেগেছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্য়ের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিকে, আজও ফের রাজ্য়ের মুখ্য়সচিবকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় দল।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যে ওষুধ নিয়ে সারা বিশ্ব তোলপাড় সেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে এবার সাবধানবাণী শোনাল আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।
এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের দাপটে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মার্কিন মুলুক। কোভিড-১৯ ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে ভারত থেকে ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দিয়েই শুরু হয়েছে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাও। কিন্তু গোল বেঁধেছে সেখানেই। এফডিএর তরফে জানান হয়েছে ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। যার ফলে হৃদস্পন্দনজনিত সমস্যা আরও বাড়তে পারে। নিমেষেই ঘনিয়ে আসতে পারে মৃত্যু। পড়ুন বিস্তারিত
মৃত্যু ঘিরে দেশে বাড়ছে রহস্য। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী নাটকীয়ভাবে করোনামৃত্যু সংখ্যায় রেকর্ড পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু শ্মশানের হিসেব বলছে আরও কম। দেশজুড়ে লকডাউন, বন্ধ রেল ও বাস পরিষেবা, কোথাও কোনও দুর্ঘটনার খবরও নেই, সেই কারণেই কি শ্মশানে কমছে মৃতদেহের সংখ্যা?
বিশেষজ্ঞদের মতে যেহেতু যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন তাই খবর দেওয়ার উপায় বন্ধ, ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৃত্যু সংখ্যার সঠিক হিসেবও আসছে না স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে। হাসপাতালে ভর্তি না হলে সেই তথ্য কেন্দ্রের কাছে পৌঁছনও সম্ভব নয় বলেই তাঁদের দাবি। তবে বিশ্বের হিসেব বলছে চিন থেকে ছড়ানো এই করোনাভাইরাসের দাপটে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত প্রায় ২৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ, মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার। পড়ুন বিস্তারিত
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জেরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের বর্ধিত ডিএ আগামী দেড় বছরের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। যার সমালোচনার মুখর হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বর্ধিত ডিএ-তে কোপ অপ্রয়োজনীয় বলে জানান তিনি। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, এই পর্যায়ে সরকারি কর্মচারী ও সশস্ত্র বাহিনীকে অর্থকষ্টে ফেলার কোনও প্রয়োজনই ছিল না।’
এর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, ‘করোনা রুখতে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলিকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা উচিত। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র-রাজ্য সমঝোতা খুবই জরুরি। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির পারস্পরিক সহযোগিতাই করোনা রোখার মূল চাবিকাঠি’ পড়ুন বিস্তারিত
শপস অ্যান্ড এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্টের আওতায় গ্রামীণ এলাকায়, ছোট বাজার ও লোকালয়ে অনাবশ্যকীয় নির্দিষ্ট পণ্যের দোকান খোলায় ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু, আসামে তা বলবৎ হবে না। জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় কৃষ্ণা। ২৭ এপ্রিলের পরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে যে, পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে রাজ্যগুলিই স্থির করবে এই ছাড় বলবৎ করার বিষয়টি।
লকডাউনে স্তব্ধ প্রাতিষ্ঠানিক পঠন-পাঠন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ ব্যহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জুলাই মাসের বদলে আরো দু'মাস পিছিয়ে, সেপ্টেম্বর থেকে নতুন কলেজ শিক্ষাবর্ষ চালুর সুপারিশ করল সরকার নিযুক্ত কমিটি।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১৬ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, ভর্তি, শিক্ষাবর্ষ সংক্রান্ত বিষয় নির্ধারণে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন। শুক্রবার এই কমিটিই রিপোর্ট জনা দিয়েছে। সেখানেই শিক্ষাবর্ষ দু'মাস পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে করার সুপারিশ পেশ করা হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে যে, শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে গেলে নির্ধারিত সময় জুলাইতে পরীক্ষা বা সেমিস্টার সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার সময়ও পিছিয়ে যাবে।
চিনা করোনা ব়্যাপিড টেস্ট কিটের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইসিএমআর-এর নির্দেশে ইতিমধ্যেই ওই কিট দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। প্রবল সমালোচনার মাঝে, কিট সরবরাহকারী চিনা দুই সংস্থা গুয়াংজু ওয়ান্ডফো বায়োটেক এবং লিভজন ডায়াগনস্টিক্স জানিয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে সহয়োগিতায় রাজি। কিটের মানের সঙ্গে কোনও আপস হয়নি বলে দাবি তাদের। এছাড়াও বলা হয়েছে, কিট সংরক্ষণ ও ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট গাইডলাইন অবশ্যই মানতে হবে। না হলেও ওই কিটে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই দুই চিনা সংস্থা ভারতে মোট ৫.৫ লাখ কিট সরবরাহ করেছে।
বামফ্রণ্ট রেড রোডে প্রতীকী প্রতিবাদ করেছিল। এবার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিজেপি নেতা-কর্মীরা বাড়িতে দু’ ঘণ্টা প্রতীকী অবস্থানে বসবেন। বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও নিজ নিজ রাজ্যে নিজেদের বাড়িতে অবস্থানে বসবেন। একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, তাঁদের কর্মীদের জবরদস্তি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। পড়ুন বিস্তারিত
লকডাউনের মধ্যেও আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে। সংযোজিত গাইডলাইন অনুসারে, শহরের মতই গ্রামীণ এলাকাতেও মল বা বড় শপিং কমপ্লেক্স বন্ধ থাকবে। মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। লকডাউনের এক মাস অতিক্রান্ত। এই পরিস্থতিতে মানুষের কাছে অনাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছে দিতে ও গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। তবে, পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে রাজ্যগুলিই স্থির করবে কোন এলাকায় কিসের দোকান খোলা হবে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে যে, এইসব দোকানে মোট কর্মীর ৫০ শতাংশ কাজে যোগ দিতে পারবেন ও মাস্ক-পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক। পড়ুন বিস্তারিত
ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রামিত হয়েছে ২৪,৫০৬ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০৬৩ জন। ৭২৩ থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৭৫ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমণের হার হাজারের বেশি, মৃত ৫২।