লকডাউন ৪.০ লাগু হচ্ছে। এর মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত। এই পর্যায়ের লকডাউনে রাজ্যের হাতে ক্ষমতা থাকবে গ্রিন, অরেঞ্জ ও রেড জোন কোনটা হবে স্থির করার। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, জোন নির্বিশেষে শপিং মল ছাড়া সর্বত্র দোকান, বাজার খোলা থাকবে। তবে কনটেনমেন্ট এলাকায় কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
দেশের লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির আগেই বেশ কয়েকটি রাজ্য নিজেদের মত করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছিল। এই তালিকায় ছিল পাঞ্জাব। পরে যোগ হয় মহারাষ্ট্র ও তামিলনাডু। এ রাজ্যগুলি ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন আগেই ঘোষণা করেছিল। কর্নাটকও ২৯ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে।
রবিবারের লকডাউন ৪.০ সম্পর্কিত ৯ পৃষ্ঠার নির্দেশনামায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে জোন ভাগাভাগির দায়িত্ব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নিজেদের হাতেই রাখতে পারবে। ৩১ মে পর্যন্ত কেবলমাত্র শপিং মল, সিনেমা হল, হোটেল, রেস্তোরাঁ, স্কুল-কলেজ খোলা যাবে না। চলবে না বিমান ও মেট্রো।
তবে কনটেনমেন্ট এলাকা ছাড়া সব জোনেই বাস চলাচলে ছাড় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দোকান-বাজার, মার্কেট কমপ্লেক্স, সেলুন - এসবই কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া সর্বত্র খোলা যাবে। তবে রাত ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় ছাড়া অন্য সমস্ত চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কর্মক্ষেত্র ও প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রকাশ্যে থুথু ফেললে জরিমানা হবে বলেও জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায়।
Read in English
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
ঋণ নয়, গরিব ও পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে নগদ দিক কেন্দ্র। শনিবার এই দাবি তুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহল গান্ধী। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোদি সরকার ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এই প্যাকেজ পুর্বিবেচনার পক্ষেও সওয়াল করেন রাহুল গান্ধী।
ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় ফেরৎ পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনের ভাড়া মেটাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রেলকে চিঠি দিয়ে জানাল নবান্ন। শনিবার টুইটে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমাদের পরিযায়ীদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ। খুশির সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ভিনরাজ্য থেকে ট্রেনে করে বাংলায় আগত পরিযায়ী শ্রমিকদের রেল ভাড়া মেটাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কোনও পরিযায়ীকে ভাড়া গুনতে হবে না।’
রবিবার লকডাউন ৪.০ সম্পর্কিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া সমস্ত এলাকায় সব বাজার, অফিস, শিল্প ও ব্যবসাক্ষেত্র খোলা যাবে। শুধু তাই নয়, সব জোনেই বাসও চলতে পারবে।
এবারের লকডাউনের বিধিনিষেধে অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে আরোগ্যসেতু অ্যাপের ব্যবহার সম্পর্কিত নির্দেশিকা। বলা হয়েছে অফিসে ও কাজের জায়গায় যেসব কর্মীর ফোনে সুযোগ রয়েছে, তাঁরা যাতে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করেন, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। জেলা কর্তৃপক্ষও যাঁদের ফোনে এই অ্যাপ ডাউনলোড করার সুযোগ রয়েছে, তাঁদের এ ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করতে পারে, এবং ওই অ্যাপে তাঁদের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়মিত আপডেট করতে বলতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জাতীয় যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, জনসমক্ষে এবং কাজের জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, এবং প্রকাশ্য স্থানে থুথু ফেললে জরিমানা হবে। প্রকাশ্যে পান, গুটখা খাওয়া এবং মদ্যপানও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেন্দ্রের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত নতুন লকডাউন নির্দেশিকা পায়নি বলে জানিয়েছে এ রাজ্যের সরকার। তা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত পূর্ববৎ বিধিই বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
MHA Order Dt. 17.5.2020 on ... by The Indian Express on Scribd
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশে জানানো হয়েছে স্পোর্টস কমপ্লেক্সগুলি এবার খোলা যাবে। এর ফলে মার্চের মাঝখান থেকে যেসব ক্রীড়াবিদরা ট্রেনিং করতে পারছিলেন না, তাঁদের সুরাহা হবে। তবে স্পোর্টস কমপ্লেক্স, স্টেডিয়াম খুললেও তাতে কোনও দর্শক আসতে পারবেন না।
৬৫ ঊর্ধ্ব নাগরিক, যাঁদের অন্যান্য অসুস্থতা রয়েছে, গর্ভবতী মহিলা ও ১০ বছরের কমবয়সী শিশুরা, কোনও জরুরি বা স্বাস্থ্যগত প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতেই থাকবেন।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যসামগ্রী ছাড়া সব ক্ষেত্রেই সমস্ত রকমের চলাচস সকাল ৭টা থেকে রাত ৭টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নির্দেশ জারি করবে।
সমস্ত জোনে, শপিং মল ছাড়া সব দোকান বাজার খোলা থাকবে। কোন জায়গা গ্রিন জোন, কোন জায়গা রেড জোন, কোন জায়গা অরেঞ্জ জোন, এসব ঠিক করতে পারবে রাজ্যগুলি নিজেরাই। কনটেনমেন্ট জোনে কেবলমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা চালু থাকবে। কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দারা যাতে বাইরে না বেরোতে পারেন, সে কারণে মেডিক্যাল ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সেখানে পৌঁছনো নিশ্চিত করতে হবে।
চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউনে কোনও মতেই আন্তর্জাতিক সড়ক বাণিজ্যে কোনওভাবে বাধা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে কনটেনমেন্ট জোনের উপর বিশেষ নজর রাখার কথা বলা হয়েছে
সেলুন, সালোঁ, বাজার ও মার্কেট কমপ্লেক্স লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে খুলবে বলে জানানো হয়েছে
৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে হোটেল, রেস্তোরাঁ, সিনেমাহল, মল, সুইমিং পুল, জিম।
মেট্রো রেল পরিষেবা, স্কুল ও কলেজও বন্ধ থাকবে এই পর্যায়ে।
এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া সমস্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিমান চলাচল ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউনে মেট্রো বা বিমান পরিষেবা চালু হবে না। বন্ধ থাকবে সিনেমাহল, স্টেডিয়াম খোলা যাবে তবে তা হতে হবে দর্শকশূন্য।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশে জানিয়েছে কোভিড-১৯ এর জন্য লকডাউন আরও ১৪ দিন বাড়ানো হবে। রবিবার সকালে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুসারে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৮৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে, মোট নিশ্চিত সংক্রমিতের সংখ্যা ৯০৯২৭।কোভিডের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর পর তা প্রথমে ৩ মে পর্যন্ত ও পরে ১৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
৩১ মে পর্যন্ত সারা দেশে লকডাউনের সময়সীমা বর্ধিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এ সম্পর্কিত নির্দেশিকা জারি করেছে। কোন কোন বিষয়ে শিথিল করা হবে, কোন বিষয়ে কড়াকড়ি জারি থাকবে, তা জানা যাবে আর অল্প সময়ের মধ্যেই।
কর্নাটক তাদের লকডাউনের মেয়াদ ১৯ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে স্বরাষ্ট্র দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন লকডাউন ৪.০ বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হবে। গ্রিন জোনে কাজকর্ম পুরোমাত্রায় স্বাভাবিক হতে পারে। অরেঞ্জ জোনে সামান্য কিছু বিধিনিষেধ থাকবে, এবং রেড জোনের কনটেনমেন্ট এরিয়াগুলিতে কড়া বিধিনিষেধ লাগু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মহারাষ্ট্রের পর তামিলনাড়ুও তাদের লকডাউনের মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে তেলেঙ্গানা তাদের লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে ২৯ মে পর্যন্তয এই পরিস্থিতিতে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই লকডাউন নিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, কোনও রাজ্যই লকডাউন সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের পক্ষ নয়। আবার বেশ কিছু রাজ্য লকডাউনের শিথিলতার বিভিন্ন দিক বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করেছে।
শনিবার বিকেলে দক্ষিণ দিল্লিতে পথচলতি পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে রাস্তায় বসে কথা বলতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে। সেই ঘটনার পর থেকে জাতীয় রাজনীতিতে দোলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সময় নির্মলা সীতারমন রাহুলের পদক্ষেপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেছেন , 'আমাদের সকলকে একযোগে এসে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংকট কাটাতে হবে। তবে আমি জানতে চাই কংগ্রেস পার্টি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কেন কিছু করছে না? কেন কংগ্রেস শাসিত বা তার শরিকদের দ্বারা শাসিত রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কিছু করা হচ্ছে না? ওঁরা আমাদের ড্রামাবাজ বলেন, কালকের ঘটনাকে কী বলবেন? ওটা ড্রামাবাজি।'
পাঁচ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ব্যাখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজের থেকে বেশি আর্থিক সহায়তার কথা জানিয়েছেন তিনি। মোট ২০ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৩ কোটি টাকার প্যাকেজ তিনি ঘোষণা করেছেন।
করোনা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘন্টায় এ রাজ্য়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬০৬। মহারাষ্ট্রে কোভিড-১৯ পজেটিভের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০,৭০৬। মৃত্যু হয়েছে ১,১৩৫ জনের। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল।
স্বাস্থমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আক্রান্তের সংখ্যার রেকর্ড বৃদ্ধি। একদিকে সংক্রমিত ৪৯৮৭ জন। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ৯০,৯২৭ জন। অ্যাকটিভ কেস ৫৩,৬৪৯। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৪,১০৯ জন।