তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ সুনামি ভারতে। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষের দোরগোড়ায় চলে গেল বুধবার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৪২ জনের।
দেশে সংক্রমণের হার ৫.১৯ শতাংশ। টেস্ট পজিটিভটি রেট পৌঁছে গেছে ১১.০৫ শতাংশে। সবমিলিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৭০ হাজার ৫১০। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। দেশে এই মূহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫৫ হাজারের বেশি। উদ্বেগ বাড়িয়ে ঊর্ধ্বমূখী ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৮৬৮। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত (১,২৮১)।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর তৃতীয় ঢেউয়েও সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ১১.০৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দেশের ২৯টি রাজ্যের ১২০টি জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারপরই রয়েছে দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গ।
এদিকে, পুরনো টিকাই নয়, করোনা ঠেকাতে প্রয়োজন নতুন টিকা। এমনই দাবী করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। WHO’র বক্তব্য, পুরনো টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েও করোনার নয়া স্ট্রেনগুলির সংক্রমণ রোখা যাবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একের পর নয়া স্ট্রেন সামনে আসায় বেড়েছে উদ্বেগ। ওমিক্রন আতঙ্কে যখন তোলপাড় বিশ্ব তখন WHO’র বক্তব্য নিঃসন্দেহেই কপালে ভাঁজ ফেলেছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের।
আরও পড়ুন ওমিক্রনে নতুন তিনটি উপসর্গ সামনে এল, জেনে নিন সেগুলি সম্পর্কে
WHO বলছে, আমাদের এমন ভ্যাকসিন প্রয়োজন যার এই রোগের সংক্রমণ রোধ এবং ছড়িয়ে পড়া রোখার ক্ষেত্রে আরও কার্যকারী ভূমিকা থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে এই ধরনের ভ্যাকসিন তৈরিতে উৎসাহ দেওয়ার কথা বলছে। WHO’র টিকার উপাদান সংক্রান্ত উপদেষ্টা মণ্ডলীর (TAG-CO-VAC) বক্তব্য, পুরনো টিকাগুলির বুস্টার ডোজ বারবার দিলেও করোনার সংক্রমণ রুখে দেওয়া যাবে না। করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়তে পারবে না এই ভ্যাকসিন। ফলে বুস্টার ডোজ কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই গেল।