তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ সুনামি দেশে। একদিনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড ভারতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩২ জন। গতকালের থেকে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি সংক্রমিত। যা তৃতীয় ঢেউয়ের সময়কালে রেকর্ড।
মৃত্যুও ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৯১ জনের। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লক্ষ ২৪ হাজার ৫১। সুস্থতার হার ৯৩.৬৯ শতাংস। এদিন ভারতের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ২৮৭। গতকালের থেকে ৩.৬৩ শতাংশ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৯০ জন।
দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ১৬.৪১ শতাংশ। যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড টেস্ট হয়েছে ১৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ১৮০ জনের।
এদিকে, সংক্রমণের তৃতীয় ধাক্কা শিখর ছুঁতে পারে আর কয়েকদিনের মধ্যেই। আইআইটি কানপুরের বিজ্ঞানী মণীন্দ্র আগরওয়ালের আশঙ্কা, আগামী ২৩ জানুয়ারি সংক্রমণের শিখরে পৌঁছতে পারে দেশ। তবে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লক্ষের নীচে থাকবে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন ২৩ জানুয়ারি সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছতে পারে দেশ, আশঙ্কা আইআইটি কানপুরের বিজ্ঞানীর
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে মাত্রাছাড়া সংক্রমণ দেশজুড়ে। প্রতিদিন দেশের লক্ষ-লক্ষ মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। হু হু করে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩২ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শীঘ্রই দেশ সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা আইআইটি কানপুরের বিজ্ঞানী মণীন্দ্র আগরওয়ালের।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ”ভারতে ২৩ জানুয়ারি দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ হতে পারে। তবে সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ লক্ষের নীচে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দিল্লি, মুম্বই এবং কলকাতার মতো মেট্রো শহরগুলি ইতিমধ্যেই সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছেছে।”
মণীন্দ্র আগরওয়ালের মতে, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত এবং হরিয়ানা চলতি সপ্তাহেই সংক্রমণের শীর্ষে উঠবে। অন্যদিকে অন্ধ্র প্রদেশ, অসম এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি পরের সপ্তাহে সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।