'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনের আগেই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী', এই অভিযোগে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যকে আগাম না জানিয়ে কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফের সোচ্চার হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। চিঠি দেওয়ার আগে সোমবার টুইটারে মমতা লিখেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রন্তের রেকর্ড বৃদ্ধি ঘটেছে। একরাতেই করোনা পজেটিভের সংখ্যা ১,৫৪৩ জন। সোমবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুশারে ভারতে কোভিড-১৯ পজেটিভ ১৭,২৬৫ জন। এদের মধ্যে ২,৫৪৬ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। দেশে করোনার মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ,৫৪৩।
বিশ্ব করোনা মহামারীর বলি ১.৬ লক্ষ মানুষ। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২.৪ মিলিয়ান। নিউইয়র্কে করোনা পরিস্থিতির ক্রমশ অবণতি হচ্ছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুশারে গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিয়ায়, ১৯৯৭ জন করোনা পজেটিভের মৃত্যু হয়েছে। মোট সংখ্য বেড়ে দাঁড়াল ৪০,৫৯১।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
করোনাভাইরাস রুখতে লকডাউন দেশে এবার সামনে এল এক নয়া তথ্য। লকডাউন দেশে দরিদ্র শ্রেণিকে ত্রাণ দানের কাজ শুরু হলেও বেশ কয়েকটি রাজ্য সাত বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ সুবিধাভোগী শ্রেণি যারা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় রয়েছেন তাঁদের সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই আইনের আওতায় সমাজের দরিদ্র এবং কম অর্থ উপার্জিতদের ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করা হয়।
লকডাউন মেনে চলুন। লকডাউনের আইন অমান্য করলে কড়া শাস্তি হবে। অফিসারদের তিনি এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানালেন খোদ কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মা। তিনি নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পুলিশ কমিশনারের বার্তা, 'লকডাউন ভাঙলে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমার অফিসারদের বলেছি আমি।'
সোমবার আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, ১০০ জন করোনা আক্রান্তের মধ্য়ে প্রায় ৮০ জনের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই বা সামান্য় উপসর্গ রয়েছে। স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে করোনা সংক্রমণের হার লকডাউনের আগে ৩.৪ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছিল, সেখানে সেই পরিসংখ্য়ান এখন ৭.৫ দিনে দাঁড়িয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফোনের আগেই রাজ্যে চলেছে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কোনও অনুমতি না নিয়েই, এবার এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন- "কেন্দ্র যেরকম কাজ দেখাচ্ছে তা অত্যন্ত ভাল। কিন্তু রাজ্যকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে প্রোটোকল ভাঙা হয়েছে।"
করোনা পরিস্থিতি ঘিরে এবার রাজ্য়-কেন্দ্র সংঘাতের আবহ তৈরি হয়ে গেল। করোনা মোকাবিলায় নবান্নের ভূমিকায় কার্যত ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করে বাংলায় কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপে সোচ্চার হলেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সোমবার টুইটারে মমতা লিখেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।
ঠিক কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
টুইট করে মমতা এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকারের থেকে সবরকম সহযোগিতা ও পরামর্শকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু, কীসের ভিত্তিতে ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের অন্য়ান্য় প্রান্তে কেন্দ্রীয় দল পাঠাছে কেন্দ্র সরকার, তা স্পষ্ট নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের কাছে আর্জি রাখছি, এ ব্য়াপারে তা জানান। তা না হলে, কোনও উপযুক্ত কারণ ছাড়া এই পদক্ষেপের সঙ্গে এগোতে পারবে না রাজ্য়। কারণ এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য়পূর্ণ নয়। পড়ুন বিস্তারিত
কলকাতা সহ বাংলার বেশ কয়েকটি জায়গায় লকডাউনের শর্ত ঠিকমত মানা হচ্ছে না। নবান্নের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কেন্দ্র। এবার তাই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বাংলার সাত জেলায় কেন্দ্রীয় দল যাবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পংকে ‘গুরুতর’ করোনা প্রভাবিত বলে উল্লেখ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের শর্ত মেনে লকডাউন ঠিক মতো পালন হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন কেন্দ্রী প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এছাড়াও ‘গুরুতর’ করোনা প্রভাবিত সাত জেলায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের যোগান কেমন, মানুষ সামাজিক দূরত্ব মানছে কিনা, রাস্তায় লোকজনের যাতায়াত কতটা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষার বিষষয়গুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন। পড়ুন বিস্তারিত
সোমবার থেকে বইয়ের দোকান, সেলুন, হোটেল, বাস চলাচল সহ বেশ কিছু ব্যবসা ফের চালুর অনুমতি দিয়েছে কেরালা সরকার। আর এতেই ক্ষুব্ধ কেন্দ্র। বিজয়ন সরকারের লকডাউন শিথিলের নির্দেশে কেন্দ্রীয় গাইডলাইন ভাঙা হচ্ছে বলে মনে করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রীতিমতো চিঠি লিখে মন্ত্রক কেরালা সরকারকে অসন্তোষের কথা জানিয়েছে ও কারণ ব্য়াখ্য়া করতে বলেছে। তারপরই সুর নরম কেরালার বাম সরকার। বিযয়টিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে ব্যাখ্যা করেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী কাদাকাম্পাল্লি সুরেন্দ্রাণ। করোনার বিরুদ্ধে কেন্দ্র-রাজ্য একযোগে লড়াই চালাবে বলে জানান তিনি। পড়ুন বিস্তারিত
আক্রান্তের সংস্পর্শ যোগে আরও চার জন চিকিৎসকের দেহে মিলল কোভিড পজেটিভ। পূর্ববর্তী কোভিড পজেটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সূত্রে। কোভিড পজিটিভ রোগীর সঙ্গে সংস্পর্শ বিভ্রাটে ১৩জন কে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। গতকাল, যাদের মধ্যে প্রথমে ৩জন ডাক্তার ও ২জন রোগী করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপর, সোমবার আরও চার জন চিকিৎসক কোভিডে আক্রান্ত বলে সূত্রের খবর। অর্থাত্্ মেডিক্যাল কলেজে মোট ৭ জন ডাক্তার এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পড়ুন বিস্তারিত
লকডাউনে আজ থেকেই একশ দিনের কাজে ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু, লকডাউন শিথিলতার মধ্যে এই প্রকল্পে পয়ষট্টি বছর ও তদূর্ধ্বদের কী কাজে লাগানো হবে? এই প্রশ্নে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা ঘিরে বিভ্রান্তি দানা বেঁধেছে। রাজ্য সমুহের মতে, কেন্দ্রীয় গাইড লাইনে ইঙ্গিত মিলেছে যে, পয়ষট্টি বছর বা তার বেশি, ক্রনিক রোগ আক্রান্ত ব্যক্তি ও পাঁচ বছরের কম বয়সী সন্তান রয়েছে এমন পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকদের বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। কেন্দ্রীয় নির্দেশে অসামঞ্জস্যতা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পড়ুন বিস্তারিত
হটস্পট বা ভাইরাসের প্রকোপ কম এমনসব জায়গায় আজ থেকেই লকডাউন বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে। তবে, নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা। কাজের প্রয়োজনে পেরোতে পারবেন না রাজ্যের সীমানা। অতএব, পরিযায়ীরা যে রাজ্যে আছেন, সেখানেই আপাতত তাঁদের থাকতে হবে। তবে, কাজের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যেতে পারবেন পরিয়ায়ী শ্রমিকরা। এক্ষেত্রে তাঁদের বাসে করে কর্মস্থানে পৌঁছাতে সহযোগিতা করবে প্রশাসন। এছাড়াও জানানো হয়েছে, দক্ষতার ভিত্তিতে আশ্রয়দাতা রাজ্যেই কাজ করতে পারবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। পড়ুন বিস্তারিত
ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপহীন অঞ্চলে লকডাউনে বেশ কিছু কাজের ক্ষেত্রে আজ থেকেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে, দিল্লি, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে সেইসব রাজ্যে কোনও ছাড় মিলবে না। তেলেঙ্গানায় লকডাউনের মেয়াদ ৭ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে কে চন্দ্রশেখর রাও সরকার।একই পথে হাঁটতে পারে কর্নাটক সরকারও।
করোনা মোকাবিলার জন্য প্রশাংসিত কেরালার বাম সরকারের পদক্ষেপ। রাজ্য়ে লকডাউনের মধ্যেই রেস্তোরাঁ, সেলুন, পুর এলাকায় ক্ষুদ্র-কুটির ও মাঝারি শিল্প চালু, বইয়ের দোকান, শহরে বাস চালাচলে ছাড়ের ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। পিনারাই বিজয়ন সরকারের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে মোদী সরকার ও এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় গাইডলাইনের পরিপন্থী বলে জানানো হয়েছে। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক কেরালা সরকারকে চিঠিতে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় গাইড লাইন অনুশারেই লকডাউন শিথিল করতে হবে।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রন্তের রেকর্ড বৃদ্ধি ঘটেছে। একরাতেই করোনা পজেটিভের সংখ্যা ১,৫৪৩ জন। সোমবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুশারে ভারতে কোভিড-১৯ পজেটিভ ১৭,২৬৫ জন। এদের মধ্যে ২,৫৪৬ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। দেশে করোনার মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ,৫৪৩।