/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/08/virus-lead.jpg)
করোনার যে বায়ুবাহিত চরিত্র রয়েছে তা নতুন নয়। এক মাস আগেই গবেষকরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে করোনা বায়ুবাহিত। মেনে নিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। কিন্তু অতিমারীর নেপথ্যে কি করোনা ভাইরাসের বায়ুবাহিত চরিত্রই দায়ী? কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইএর)-এর তরফে সেই সম্ভাবনাই খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে করোনাকে মিউকাস বাহিত মনে করা হলেও ৯ জুলাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক আপডেটে জানিয়ে দেয় যে বদ্ধ জনবহুল জায়গায় বাতাসেও করোনাভাইরাস থেকে যেতে পারে এবং স্বল্পদূরত্বে এই ভাইরাসের বায়ুবাহিত সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। হুয়ের এই আপডেটের তিন দিন আগে ৩২টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানীর এক গোষ্ঠী একটি কমেন্টারি প্রকাশ করেছিলেন, যার শিরোনাম ছিল কোভিড-১৯-এর বায়ুবাহী সংক্রমণ নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে। সেখানে তাঁরা চিকিৎসা গোষ্ঠী ও সংশ্লিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে কোভিড-১৯-এর বায়ুবাহী সংক্রমণকে স্বীকার করার আবেদন জানান।
আরও পড়ুন, প্রথম ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা উৎকৃষ্ট মানের হবে না, আশঙ্কা প্রকাশ বিল গেটসের
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন করোনা আক্রান্ত রোগীরা যখন ঘরের মধ্যে হাঁচি দিচ্ছেন কিংবা কাশছেন তখন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণু হয়ে ঘরের বাতাসে থাকছে এই ভাইরাস। পরিবর্তীতে প্রশ্বাসের মাধ্যমে আরেকজনের শরীরে প্রবেশ করছে এই কোভিড ভাইরাস। মানুষের ফুসফুসের উপর যে আস্তরণ রয়েছে তা ফিল্টার হিসেবে কাজ করলেও। এই ভাইরাসে এতটাই ক্ষুদ্র যে তা ভেদ করে ফুসফুসকে আক্রান্ত করতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হচ্ছে না। জানা গিয়েছে পাঁচ মাইক্রোনের চেয়েও ক্ষুদ্র এই ভাইরাস নেওয়া এয়ারোসল।
সিআইএসআর-এর প্রধান বিজ্ঞানী ডা: শেখর মান্ডে বলেন, "আমরা একাধিক নমুনা নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছি। তবে এই ভাইরাসটি শুধু এয়ারোসল হয়ে থাকছে না কি অন্য কিছু তা পরীক্ষাসাপেক্ষ। বাতাসে কতক্ষণ বেঁচে থাকছে এই ভাইরাস তা ও পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন