রবিবার মুম্বই ও এর সাথে সংলগ্ন পৌর কর্পোরেশন অঞ্চলগুলিতে ভেন্টিলেটরদের সহায়তার জন্য রোগী ভর্তিতে দেখা গেল বিশাল লাইন। যদিও দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (ICU)-এ ঠাঁই মেলেনি অধিকাংশের। ভেন্টিলেটরের তীব্র সঙ্কটের জেরেই এমন পরিস্থিতি।
মীরাবাঈ পুরসভার ৪০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। উপ পৌর কমিশনার শম্ভজী পানপট্টে জানান যে সেই সব বেডই ভর্তি রয়েছে। ভাসাই বিহার পুরসভার অধীনে ১৭টি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। বেড বরাদ্দ তথ্য পরিচালনা করা অবিনাশ গুঞ্জলকর বলেন, "বিছানা বরাদ্দের ডেটা পরিচালনা করা অবিনাশ গুঞ্জলকর বলেছিলেন, "আমি দুপুরে যখন শেষবার ডেটা চেক করেছি তখন আমাদের সমস্ত আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর বিছানা ভর্তি সেটাই এসেছে তথ্যে।"
এদিকে রোগীদের অবস্থাও ক্রমে মারাত্মক হচ্ছে উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে। কান্দিভালিতে এক পরিবারের বক্তব্য, তাঁরা রাজ্যের ১৮টি হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছে, ৫টিতে নিজেরাই গিয়েছেন কিন্তু কোথাও আইসিইউ ফাঁকা নেই। সন্ধ্যের দিকে সেভেন স্টার হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর পর সেই বেড খালি হওয়ায় ভর্তি করানো গিয়েছে তাঁদের প্রিয়জনকে।
আরও পড়ুন, ভ্যাকসিনই মজুত নেই, ১ মে থেকে শুরু হচ্ছে না টিকাকরণ!
অন্যদিকে, বিএমসির তথ্যে দেখা গিয়েছে কোভিড রোগীদের জন্য ১৪৪৪টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ১৭টি ফাঁকা রয়েছে, ২,৮৬১টি আইসিইউ-এর মধ্যে ৬০টি খালি আছে। তবে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যে তথ্য পেয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে কেবল একটি ভেন্টিলেটর এবং ১৫টি আইসিইউ বেড ফাঁকা রয়েছে মুম্বইতে।
টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল যেমন জানিয়েছে যক্ষা রোগী, ক্যানসার রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর রাখতেই হচ্ছে। সিইও জয় চক্রবর্তী বলেন, "আমাদের পাঁচটি ভেন্টিলেটর আছে। সবকটি ভর্তি। আমরা ওয়েটিং লিস্ট প্রস্তুত রাখতে পারছি না। যে রোগীর প্রয়োজন হচ্ছে তাঁকেই দিতে বাধ্য হচ্ছি।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন