করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের নেপথ্যে যে বন্যপ্রাণ এ কথা এখন আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু এখনও যে হারে দাপট বৃদ্ধি করে চলেছে করোনা ভাইরাস সেখানে এই সংক্রমণের নেপথ্যে যে বন্যপ্রাণ বিক্রির বাজার এমনটাই মনে করছে গবেষকরা। তবে শুধু বন্যপ্রাণ বাজারই নয় যে রেস্তোরাঁতে এই সকল প্রাণীকে খাদ্যদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেখান থেকেও হুড়মুড়িয়ে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস।
মানবদেহে এই ভাইরাস সংক্রমণ খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব। মিউকাসজাতীয় পদার্থ থেকে জলদি ছড়ায় এই ভাইরাস। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৪ সালে ভিয়েতনামের একটি বন্যপ্রাণ বাজার থেকে প্রথম করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি জার্নালও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয় কীভাবে এই সব বাজার এবং রেস্তোরাঁ থেকে ছড়িয়ে অতিমারীতে পরিণত হয়েছে করোনা।
আরও পড়ুন, করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আনল রাশিয়া! কতটা নিরাপদ?
তবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন শুধু চিন থেকে নয় ভিয়েতনাম থেকেও একই ভাবে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। ২০০২-০৩ সালেও সারস ভাইরাস যেভাবে ছড়িয়েছিল ভিয়েতনাম থেকে এবারেও সেই একই ধাঁচে ছড়িয়েছে কোভিড-১৯। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিশেষ পদ্ধতিতে বানানো ইঁদুর থেকে ৩৪% এবং বাদুড় থেকে ৭৪.৮% শতাংশ ছড়িয়েছে এই রোগ।
আরও পড়ুন, লিভারের সমস্যা থাকলেই আক্রমণ করছে করোনা, প্রমাণ পেলেন গবেষকরা
এই মুহুর্তে অন্যান্য বন্যপ্রাণীর উপরও কড়া দৃষ্টি রাখছেন বিজ্ঞানীরা। এই সকল প্রাণীদের দেহ থেকে ছড়িয়ে যাওয়ার পর কোনও মানুষের সংস্পর্শে এলেই ভাইরাসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বহুগুণে। এক মানুষ থেকে কয়েক হাজার মানুষে ছড়িয়ে পড়তে তাই বিশেষ সময়ও লাগছে না। যার ফল এই অতিমারী।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন