এ যেন এক মারণ থাবা। চিন ছাড়িয়ে ভারতে আসা করোনা ক্রমেই শক্তিবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। দিল্লি থেকে কর্নাটক, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ মারণ ভাইরাসের কোপে সব রাজ্যেই। এহেন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক এবং প্রতিকূলতা সামলাতে সবরকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবারই করোনায় মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে যে এখনও পর্যন্ত ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ জন। বিশ্বে সেই সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার।
এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার ট্রুডোর শরীরে পাওয়া গিয়েছে করোনভাইরাস। প্রধানমন্ত্রীর ট্রুডোর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন, তবে তাঁর স্ত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের ইতিবাচক সাড়া মেলায় তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বিছিন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছে। এদিকে দিল্লির অবস্থার কথা বিবেচনা করে সমস্ত ক্লাস সাসপেন্ড করল জেএনইউ। দিল্লির রেশ পড়েছে উত্তরপ্রদেশেও। যোগী রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ জন, করোনা ভাইরাস সন্দেহে রয়েছেন ৭৩ জন। এদের প্রত্যেকেই দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “সমস্ত স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ২২ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আমরা ২২ মার্চ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব এবং স্কুল কলেজ বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।" করোনা আতঙ্কে স্কুল বন্ধ হল মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাবেও।
এদিকে বিদেশি আটকে থাকা ভারতীদের ফেরাতে ইতিমধ্যেই বিমান পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা বলেন, “আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে শনিবার এয়ার ইন্ডিয়াও মিলানে ফ্লাইট পাঠাবে। চিনের পর ইতালি করোনা আক্রান্তে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ। গতকাল মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক হাজার। অন্যদিকে, করোনা আতঙ্কে পিছিয়ে গেল আইপিএল, ডার্বি। নভেল করোনা ভাইরাস (COVID-19) পরিস্থিতি সামলাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকেই।
জম্মু কাশ্মীর
শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর স্পোর্টস কাউন্সিল সে রাজ্যের সমস্ত ক্রীড়া কেন্দ্রে সমস্ত খেলা/কোচিং ১৩ মার্চ অবধি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উপত্যকায় একজনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে করোনা ভাইরাস।
কেরল
বৃহস্পতিবার কেরালায় কোভিড -১৯-এর আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে হয়েছে ১৯ জন। একটি পর্যালোচনা সভার পরে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে বিষয়গুলি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই। বৃহস্পতিবার, ৯০০ জনকে পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হয়েছিল। পর্যবেক্ষণাধীন রয়েছে ৪,৮৮০ জন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন