কাশ্মীর নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে হালকা চালে কড়া বার্তা দিল ভারত। পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপনের পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক বিবৃতি দেন। ভারতও সেই সকল ইস্যু নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে তার ভাষণে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। ভারত তার ভাষণে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ‘শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্ন তখনই বাস্তবায়িত হবে যখন আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ হবে। ভারত আরও জানায় 'জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যা সমাধান করার আগে ইসলামাবাদের উচিত "আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস" বন্ধ করা।
পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের বক্তব্যকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে ভারত এদিন বলে, ‘নিজের দেশের অপকর্মকে আড়াল করতে তিনি এ ধরনের বক্তব্য পেশ করেছেন”। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে শাহবাজ শরীফ দাবি করেন যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা আইন ৩৭০ ধারা বাতিল করার জন্যই কাশ্মীরে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিতো বলেন, ‘ভারতে শান্তি, নিরাপত্তার তখনই সুরক্ষিত হবে যখন সীমান্তের ওপারে অর্থাৎ পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করবে’।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে আবারও ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের চেষ্টা পাক প্রধানমন্ত্রীর । রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় শাহবাজ শরীফ ভারতে সংখ্যালঘু ও কাশ্মীর ইস্যু তুললে ভারতও পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেয়। ভারতীয় কূটনীতিক মিজিতো ভিনিতো বলেন, 'পাকিস্তান একদিকে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করে অন্যদিকে শান্তির কথা বলে। আদতে এটা পাকিস্তানের অপকর্ম আড়াল করার চেষ্টা'।
আরও পড়ুন : < মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই সক্রিয় পুলিশ, রিসেপশনিস্ট খুনে গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রীপুত্র >
তিনি বলেন, 'এটা দুঃখজনক যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য এই আন্তর্জাতিক সমাবেশের মঞ্চ বেছে নিয়েছেন। তিনি নিজের দেশের অপকর্মকে আড়াল করতেই এই মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। যা বিশ্ব কখনই মেনে নেবে না'। তিনি আরও বলেন, “ পাক প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ইস্যুটি মিথ্যা। বরং পাক প্রধানমন্ত্রীর উচিত পাকিস্তানের মাটিতে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করা"।