পাঁচ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দু'জন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করল পকশো আদালত। ২০১৩ সালে পূর্ব দিল্লির এই ঘটনায় সমাজের বিবেককে যেভাবে নাড়া দিয়ে গিয়েছে, সেই প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, "এই ঘটনা সমাজের বিবেকবোধে আঘাত হেনেছে। আমাদের সমাজে নাবালিকা কন্যাদের দেবীরূপে পুজো করা হয়। অথচ পাঁচ বছরের শিশুটিকে সেদিন চরম নৃশংসতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।"
আরও পড়ুন: নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি ১ ফেব্রুয়ারি
তবে কীরূপ সাজা হতে চলেছে তা জানানো হবে ৩০ জানুয়ারি। ২০১৩ সালের সেই ঘটনার বীভৎসতা এদিন উঠে আসে আদালতে। জানা যায়, এপ্রিলের ১৫ তারিখ দুই ব্যক্তি বছর পাঁচেকের একটি শিশুকে ধর্ষণ করে তাঁর যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। অপরাধ ঢাকতে শিশুটিকে একটি ঘরে বন্ধ করে রেখে দেয় তাঁরা। ঘটনার ৪০ ঘন্টা বাদে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। দুজন আসামিকে ২০১৩ সালে বিহার থেকে পৃথকভাবে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। ওই বছরের ২৪ মে চার্জশিট দায়ের করা হয়েছিল এবং ১১ জুলাই আদালতে এই মামলা ওঠে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ ও হত্যার পরিমাণ বেড়েছে, বেড়েছে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধও
নির্যাতিতার বাবা অবশ্য তাঁর মেয়ের এই ন্যায়বিচার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “বিচার দুই বছরের মধ্যেই শেষ হওয়া উচিত ছিল। তবে আমরা ছয় বছর পর এই ন্যায়বিচার পেয়ে আমরা খুশি।" প্রসঙ্গত, পকসো আদালতে এই মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর বিবৃতি নথিবদ্ধ করতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে।
Read the story in English