Covid Booster Dose: কোভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ রুখে দিচ্ছে ওমিক্রন আর ডেল্টার সংক্রামক ক্ষমতাকে। বুধবার এই দাবি করেছে উৎপাদক সংস্থা ভারত বায়োটেক। ইমোরি ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক সমীক্ষায় কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ এফিকেসি প্রসঙ্গে এই দাবি করা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজের মধ্যিকার ব্যবধান অন্তত ছয় মাস হলে ফল মিলছে। এমনটাই ভারত বায়োটেকের তরফে দাবি করা হয়েছে।
রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে এই দাবি করার পাশাপাশি টিকা উৎপাদনকারী এই সংস্থা জানিয়েছে, মেডআরজিভ জার্নালে তাদের এই গবেষণা প্রকাশ করবে ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে, দেশব্যাপী করোনার সক্রিয় সংক্রমণ প্রায় ১ মিলিয়ন। বুধবার দেওয়া পরিসংখ্যানে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ১২ দিনে প্রায় ১০% বেড়েছে সংক্রমণের হার। ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী আক্রান্তের হার বা পজিটিভিটি রেট ছিল ১.১%। বুধবার অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি সেই শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.০৫%। পাশাপাশি সক্রিয় সংক্রমণ এই মুহূর্তে ৯.৫ লক্ষ। দৈনিক বুলেটিন প্রকাশ করে এই তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এদিন আবার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ১০ দিনে দুই কোটির বেশি কিশোরকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশের যুব সম্প্রদায়ের দায়িত্বজ্ঞানকে কুর্নিশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, ‘এভাবে টিকাকরণ চলতে থাকে অতি দ্রুতই লক্ষে পৌঁছন সম্ভব হবে।‘ ৩ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী ১৫-১৮ বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলায় কমল পজিটিভিটি রেট! একধাক্কায় অনেক বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু
পাশাপাশি, তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ সুনামি ভারতে। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষের দোরগোড়ায় চলে গেল বুধবার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৪২ জনের।
দেশে সংক্রমণের হার ৫.১৯ শতাংশ। টেস্ট পজিটিভটি রেট পৌঁছে গেছে ১১.০৫ শতাংশে। সবমিলিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৭০ হাজার ৫১০। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। দেশে এই মূহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫৫ হাজারের বেশি। উদ্বেগ বাড়িয়ে ঊর্ধ্বমূখী ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৮৬৮। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত (১,২৮১)।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন