Advertisment

শেষ ধাপের ভ্যাকসিন তথ্য উধাও! টিকা অনুমোদন নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা

কোভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম কিন্তু মানা হল না। সুতরাং, ডিসিজিআই যা চেয়েছিল তার ভিত্তিতে সেই সুরক্ষা ডেটা কোথায়? স্পষ্টতই, কোনও কার্যকারিতা ডেটাও নেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জরুরিকালীন ভিত্তিতে সেরামের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায় ক্লিনিকাল ট্রায়াল মোডে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হবে। সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখেই ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা রাখা হয়েছে।

Advertisment

যদিও বেশ কিছু বিজ্ঞানীদের মত, ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায় ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার তথ্য অত্যন্ত উৎসাহজনক। কিন্তু নভেম্বরে শুরু হওয়া ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য এখনও আসেনি হাতে। তাহলে কীসের উপর ভিত্তি করে অনুমোদন দেওয়া হল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। কার্যকারীতা নিয়েও একটা বড় চিন্তা রয়েছে। তাঁদের মতে, কার্যকারিতা তথ্য ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা ইঙ্গিত দেয়।

আরও পড়ুন, পাঁচ বছর ঘুরেও মিলল না প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা, মোদীর রাজ্যে আত্মঘাতী কৃষক

এ প্রসঙ্গে ভ্যাকসিন বিজ্ঞানী এবং খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা: গগনদীপ কাং বলেন, “আপনি যদি ডিসিজিআই (ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার) প্রকাশিত সেপ্টেম্বরে ডেটা দেখেন তখন দেখবেন, সেখানে প্রস্তাব করা হয়েছিল কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়(কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিনের অনুমোদনের জন্য)। সেখানে এটি খুব স্পষ্ট ছিল যে তারা সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সংক্রান্ত ডেটা চেয়েছিল এবং আশা করা হয়েছিল যে সুরক্ষা তথ্যের জন্য কমপক্ষে দুই মাস ফলোআপ হবে। কোভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম কিন্তু মানা হল না। সুতরাং, ডিসিজিআই যা চেয়েছিল তার ভিত্তিতে সেই সুরক্ষা ডেটা কোথায়? স্পষ্টতই, কোনও কার্যকারিতা ডেটাও নেই।"

একই সুর শোনা গেল অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিবেদী স্কুল অফ বায়োসায়েন্সের একজন ভাইরোলজিস্ট এবং ডিরেক্টর সাহিদ জামিলের গলায়। তিনি বলেন, "জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য কার্যকারিতার ডেটা প্রয়োজন। এই ভারতীয় ভ্যাকসিনগুলি শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারেও যেতে পারে। আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির উপর আস্থা রাখা খুব জরুরি। অন্যথায়, এই একই সংস্থাগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ”

আরও পড়ুন, ট্রায়াল শেষ না করেই অনুমোদন কেন? প্রশ্ন তুলল ‘চিন্তিত’ কংগ্রেস

যদিও AIIMS-এর ডিরেক্টর এবং জাতীয় কোভিড -১৯ টাস্ক ফোর্সের সদস্য রণদীপ গুলেরিয়া দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন যে দেশে কোভিড আক্রান্ত হঠাৎ করে তীব্র পরিমাণ বাড়ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য কোভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন অপর্যাপ্ত রয়েছে তাই ভারত বায়োটেকের এই ভ্যাকসিন নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Bharat Biotech Covaxin
Advertisment