বিশ্বের ত্রাস থাবা বসিয়েছে এ দেশেও। প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। ক্রমশই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় পাহাড়ে সংক্রমণ রুখতে ১৯ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য বন্ধ হচ্ছে দার্জিলিং। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) এর আবেদনের পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন।
একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে দার্জিলিং প্রশাসন জানিয়েছে যে দার্জিলিং জেলার ক্লাব এবং অন্যান্য সংস্থাগুলিকে যেকোনও অনুষ্ঠান করা থেকে বিরত থাকতে। যেন কোনও রকম সমাবেশের কারণ তা না হয়। বজায় রাখতে বলা হয়েছে সামাজিক দূরত্বও। ফলস্বরূপ পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হচ্ছে , এমনটাই জানা গিয়েছে। পর্যটকদের দার্জিলিংয়ে না আসতে অনুরোধ জানিয়েছে জিটিএর চেয়ারম্যান অনিত থাপা। তিনি বলেন, “আমরা হোটেল মালিক এবং ট্যুর অপারেটরদের সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একটি সভা করেছি। আমাদের কাছে ব্যবসার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সুস্বাস্থ্য। বৃহস্পতিবার থেকে তাই দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। পর্যটকদের প্রবেশের দিকে নজর দেওয়ার জন্য আমরা চেক পয়েন্টও বাড়িয়ে দেব।"
আরও পড়ুন: করোনা থাবায় ভারতে আক্রান্ত বেড়ে ১৬৯
এদিকে বুধবার দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনাভাইরাস সন্দেহে এক ব্যক্তিকে ভর্তি করানোর কিছু ক্ষণের মধ্যেই আটতলার জানলা দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন বছর পঁচিশের ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে এই ব্যক্তি পাঞ্জাবের বালচৌড়ের বাসিন্দা। বুধবার তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে সিডনি থেকে দিল্লি এসেছিলেন। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ-পশ্চিম) দেবেন্দ্র আর্য বলেন, "নোডাল অফিসারয়ের তরফে জানানো হয় যে ওই ব্যক্তিকে করোনা ভাইরাস সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে তিনি এক বছর ধরে সিডনিতে বাস করছিলেন। তাঁর মাথার যন্ত্রণা ছিল। সেই কারণেই তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।"