আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু করোনার বুস্টার ডোজের প্রয়োগ। স্বাস্থ্যকর্মী ও একেবারে সামনের সারির কোভিড যোদ্ধারা পাবেন এই ডোজ। এছাড়াও ষাটোর্ধ্ব কোমর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের দেওয়া হবে করোনার ‘সতর্কতামূলক’ ডোজ। ৯ মাস আগে যাঁরা করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজটি পেয়েছেন তাঁদেরই আগে এই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। ICMR এবং ফরিদাবাদের ট্রান্সলেশনাল হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট-এর উদ্যোগে পরিচালিত পাঁচটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ডোজগুলির মধ্যে ব্যবধান ৯ মাসের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Advertisment
৯ মাসের মাথায় এই বুস্টার ডোজের মানে হল এই, যে চলতি বছরের ১০ এপ্রিলের মধ্যে যাঁরা প্রাথমিক টিকাদানের সময়সূচীতে দ্বিতীয় ডোজটি পেয়েছিলেন তাঁরাই সতর্কতামূলক ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ডোজগুলি গ্রহণ করবেন। অর্থাৎ, প্রধানত স্বাস্থ্যসেবা এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীরাই প্রথম এই বুস্টার ডোজ পাবেন।
সর্বপ্রথমে এঁদেরই টিকা দেওয়া শুরু হয়ছিল গত ১৬ জানুয়ারি থেকে। ১ মার্চ থেকে দেশের ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং ৪৫-এর বেশি বয়সী যাঁদের কোমর্বিডিটি ছিল তাঁদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ১ মে পর্যন্ত দেশের ১.১১ কোটি জনগণ টিকার দুটি ডোজ গ্রহণ করেছেন।
"কো-উইন প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে কারা সতর্কতামূলক ডোজের জন্য যোগ্য হবেন। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে কতজন যোগ্য হবেন সেই সংখ্যা আমাদের কাছে তৈরি রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে।'' এমনই বলেছেন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আমেরিকা ও ব্রিটেন-সহ বিশ্বের বাকি দেশগুলিতে যে পদ্ধতি মেনে বুস্টার ডোজের প্রয়োগ চলছে তার থেকে ভারতের পদ্ধতি ভিন্ন হতে চলেছে।
দিন কয়েক আগেই দেশে করোনার বুস্টার ডোজ প্রয়োগের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ''কোমর্বিডিটি সম্পন্ন ৬০ বছর বয়সীদের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। বুস্টার ডোজ পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররাও। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ৬০ বছর বয়সীদের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে।''