করোনার শিখর পেরিয়ে এসেছে দেশ। এবার করোনা অতিমারী শেষ হওয়ার পালা ভারতে। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সার্টিফিকেট, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই দেশ থেকে পাততাড়ি গোটাবে এই মারণ রোগ। আইআইটি হায়দরাবাদের অধ্যাাপক এম বিদ্যাসাগরের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি দেশে অতিমারীকে কম্পিউটার মডেলের মাধ্যমে ম্যাপিং করে দেখিয়েছে, মধ্য সেপ্টেম্বরেই করোনা গ্রাফ শিখরে পৌঁছে গিয়েছিল। দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ৬ লক্ষ হতে পারে। বর্তমানে দেশে ৭৫ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৬৬ লক্ষের মতো মানুষ সুস্থও হয়েছেন। তার মধ্যে কমিটির এই রিপোর্টে করোনার বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে।
কমিটির দাবি, দেশে লকডাউন করার সুফল পাওয়া গিয়েছে। মার্চ থেকে লকডাউন জারি না হলে দেশে এতদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ লক্ষ ছাড়াত। কিন্তু লকডাউনের ফলে সংক্রমণ অতিমাত্রায় ছড়াতে পারেনি। বর্তমানে দেশে ১.১৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। তবে আর লকডাউনের দরকার নেই বলে দাবি করেছে এই কমিটি। তবে সামনে উৎসবের মরশুম আর তারপর শীতের সময় সংক্রমণ বাড়তেও পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে কোভিড প্রোটোকল সর্বতভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। দেশে করোনা সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি এবং তার প্রতিকারের উপায় খুঁজতে এই কমিটি নিযুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কমিটির দায়িত্ব ছিল ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সুপারমডেল’ নামে একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করা, যা দেশে করোনা অতিমারীর প্রভাব এবং প্রতিকার সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। ওই গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণের পর দেশ করোনা সংক্রমণের শিখর পার করে এসেছে বলে দাবি করেছে কমিটি।
আরও পড়ুন দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যায় ফের পতন, ২৪ ঘন্টায় বাড়ল মৃত্যুর হার
এদিকে, রবিবারও দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় ফের পতন। কিন্তু বেড়েছে মৃত্যুর হার। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১,৮৭১ জন। শুক্রবার যা ছিল ৬২,২১২ জন। দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ৭২,৬১৪ জন। যা কিছুটা আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪,৯৪,৫৫১ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৫,৯৭,২০৯ জন। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার ৮৮.০৩ শতাংশ। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭,৮৩,৩১১।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন