এই মুহুর্তে বিশ্বের যা প্রয়োজন তা হল ভ্যাকসিন। এখনও যে হারে দাপট দেখাচ্ছে করোনা সেখানে যে দেশই ভ্যাকসিন উৎপাদন করুক না কেন তা বিশ্বে সবার কাছে সঠিকভাবে পৌঁছনোর দায়িত্ব এগিয়ে এল ইউনিসেফ। তাঁরা জানিয়েছে যেই মুহুর্তে ভ্যাকসিন উপলব্ধ হবে তখন সব দেশ যেন এই ভ্যাকসিন পায় তা সুনিশ্চিত করবে ইউনিসেফ।
দ্য ইউনাইটেড নেশনস চিলড্রেনস ফান্ড (ইউনিসেফ) পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন ক্রেতা। যারা বছরে কয়েক লক্ষ ভ্যাকসিন কিনে একশোটিরও বেশি দেশে তা রোগ প্রতিরোধ তৈরির বিষয়ে কাজ করে যায়। যেসব দেশ প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন কিনতে অপারক থাকবে তাদের ইউএন এজেন্সি, প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন (পাহো)-এর তহবিলের সহযোগিতায় কোভাক্স গ্লোবাল ভ্যাকসিনস ৯২ টির জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ ও সরবরাহের জন্য নেতৃত্ব দেবে।
আরও পড়ুন, করোনার জেরে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের হৃদপিন্ড
ইতিমধ্যেই ইউনিসেফের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের অনেক ধনকুবের। ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা ফোরে বলেন, "করোনা অতিমারীর লড়াইয়ে সকলের সঙ্গে সম্মিলিতভাবেই এই কাজ করা হবে। ইউনিসেফের তরফে চেষ্টা করা হবে যেন বিশ্বের প্রতিটি দেশ সুরক্ষিত থাকে। অন্তত প্রাথমিক ডোজ যেন পায়।"
এদিকে, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ছ’টি তাবড় ওষুধ প্রস্তুত সংস্থার সঙ্গে কয়েক কোটি বিলিয়ন ডলারের ভ্যাকসিন চুক্তি সেরে ফেলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটেনের তরফেও একাধিক ওষুধ প্রস্তুত সংস্থার সঙ্গে ৩৪০ মিলিয়ন ডোজের ভ্যাকসিন চুক্তি সম্পন্ন করেছে। ইউরোপের অনেক দেশই এমন চুক্তি করেছে। এখন প্রথম বিশ্বের দেশগুলি যদি অর্থের ক্ষমতায় ভ্যাকসিন নিতে শুরু করে আগে তাহলে বাকি দেশগুলির কী হবে? ‘ভ্যাকসিন ন্যাশনালিজম’ এর এই ভাবনা থেকে বেরিয়েই এবার এই নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ইউনিসেফ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন