Covid 19 WCD Guidelines: করোনা অতিমারীতে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষার জন্য বিশেষ গাইডলাইন তৈরি করল কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে রাজ্য,কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জেলাশাসক,পুলিশ, পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলির জন্য নির্দিষ্ট দায়িত্বের উল্লেখ রয়েছে।
নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব রামমোহন মিশ্র জানিয়েছেন, কোন কোন শিশু খারাপ অবস্থায় রয়েছে, তা জানতে সার্ভে করতে হবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। সেই তথ্য আপলোড করতে হবে ট্র্যাক চাইল্ড পোর্টালে। চাইল্ড কেয়ার ইন্সটিটিউশন তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত এবং অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়ানো হবে। তবে ওইসব শিশুদের যাবতীয় তথ্য গোপন রাখতে হবে। প্রয়োজনে শিশুদের উপযুক্ত নিভৃতবাসের ব্যবস্থাও করতে হবে। রাখতে হবে মনোবিদ। সুচারুভাবে এ কাজ করতে নিচুস্তরে সমন্বয়ে জোড় দিতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত বা আনাথ শিশুদের পৈত্রিক সম্পত্তি যাতে বেহাত বা পরিবারের অন্য কেউ বিক্কি করে না দিতে পারে তাতে নজর দিতে হবে জেলা শাসককে। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে জেলা শাসককে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় উল্লেখ, কোভিড -১৯ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত-অনাথ শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট, ২০১৫-র আইনের আওতাধীন। ফলে এক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সরকারগুলোকে বাধ্যতামূলক প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন- Amit Shah: ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই অল্প সময়ে Covid-এর দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে পেরেছি’, প্রশংসা শাহের
নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব রামমোহন মিশ্র জানিয়েছেন যে, 'এই কাজে সমস্ত স্তরের সংশ্লিষ্ট সরকারী দফতর এবং অন্যান্য অংশীদারদের কোভিডের ফলে চরম সঙ্কটে থাকা শিশুদের স্বার্থে ভালো কাজ সুনিশ্চিত করেত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত-অনাথ দুর্বল শিশুদের কেউ যাতে বাদ না পড়ে তা নজরে রাখা আবশ্যিক।'
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের কারণে যে সমস্ত শিশুদের মা-বাবা মারা গিয়েছেন, তাঁদের দেখভালের জন্য গত ২৯ মে ‘পিএম কেয়ারস ফর চিলড্রেন’ নামের একটি প্রকল্পের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন