ইউরোপজুড়ে করোনা তিন গুণ বাড়ল। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ল দ্বিগুণ। তবে, আশার কথা এটুকুই যে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউতে রোগী ভর্তির সংখ্যা তেমন একটা বাড়েনি, কমই আছে। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ব্যাপারে হু-এর কর্তারা জানিয়েছেন, গত ছয় সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনা বেড়েছে। তার মধ্যে অর্ধেক রোগীই ইউরোপের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের কর্তা ডা. হান্স ক্লুজ জানিয়েছেন, 'করোনা অত্যন্ত খারাপ এবং মারাত্মক অসুখ। তাই কোনও নাগরিকের এই নিয়ে হেলাফেলা করা উচিত না।'
হান্স জানান, ওমিক্রনের অতি সংক্রামক নতুন ভ্যারিয়েন্ট এখন বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশজুড়ে রোগের তরঙ্গ তুলেছে। এই বারবার করোনা সংক্রমণ গোটা বিশ্বে আগের মত ছেয়ে ফেলতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। হান্স বলেন, ' যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে আমরা আশঙ্কা করছি শরৎ অথবা শীতকালে সংক্রমণ ব্যাপকহারে বাড়তে পারে। এতে বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর চাপ আরও বাড়তে চলছে। ২০২০ সাল থেকেই অবশ্য এরকম চাপ চলছে। সেটাই আরও বাড়তে পারে।'
আরও পড়ুন- বড় সিদ্ধান্ত রেলের! দূরপাল্লার ট্রেনে খাবার-পানীয়ের আলাদা সার্ভিস চার্জ থাকছে না
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় দুটি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল তাদের সম্পাদকীয়তে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। বিএমজের কামরান আব্বাসি এবং হেলথ সার্ভিস জার্নালের অ্যালিস্টার ম্যাকলেলান একটি যৌথ সম্পাদকীয়তে লিখেছিলেন যে ব্রিটিশ সরকার নতুন রোগীদের চাপ সামলাতে ব্যর্থ হচ্ছে। গ্রহণ করার জন্য অতিরিক্ত চাপে থাকা হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সের সারি সহ COVID-এর কারণে ক্রমাগত সমস্যাগুলির সমাধান করতে ব্যর্থ হচ্ছে। হাসপাতালগুলোর বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা বাড়ছে। আর, এর ফলেই হাসপাতালগুলো নতুন রোগীর চাপ নিতে পারছে না।
ব্রিটিশ সরকার দাবি করেছিল, ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই বদলেছে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু, সেই দাবি যে সত্যি নয়, তেমনটাই তথ্য দিয়ে দেখিয়েছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য পত্রিকাগুলো।
Read full story in English