লাভ জিহাদ সিপিএম মানে না। এমনটাই জানিয়েছেন কেরল সিপিএমের কোঝিকোড় জেলার সম্পাদক পি মোহনলাল। দলের কোঝিকোড় জেলা কমিটির সদস্য এবং দু'বারের বিধায়ক জর্জ এম থমাস। তিনি লাভ জিহাদের অভিযোগ করেছিলেন। দলের যুব সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের নেতা এমএস সেজিন, যাঁর বিয়ে হয়েছে ডিওয়াইএফআই কর্মী জোৎস্নার সঙ্গে। এতেই নাকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে। এমনই অভিযোগ করেছিলেন কেরল সিপিএমের নেতা থমাস।
বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা বাড়তেই একদিন পর মুখ খুলতেই হল কোঝিকোড় জেলা সিপিএমের সম্পাদক পি মোহনলালকে। তাঁর বক্তব্য, 'লাভ জিহাদ বলে কিছু নেই। এটা স্রেফ সংঘ পরিবারের এজেন্ডা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিশানা করতে এই এজেন্ডা বানিয়েছে সংঘ পরিবার।' তাহলে, আপনার দলের জেলা কমিটির সদস্যই তো লাভ জিহাদের অভিযোগ করছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে মোহনলালের সাফাই, 'ভুল করে মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে। উনি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।'
আরও পড়ুন- প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন, থানেতে মামলা রাজের বিরুদ্ধে
অভিযোগকারী বিধায়ক জর্জ এম থমাস নিজে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের। যাঁর বিয়ে হয়েছে, সেই জোত্স্নাও তাই। জেলার কোদেনচেরি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতী। সেখানকার ক্যাথলিক সম্প্রদায়ই এই বিয়ে নিয়ে আপত্তি তুলেছে। সিপিএম নেতৃত্ব আরও সমস্যায় পড়েছেন কারণ, মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিস্টানরাও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সেজন্য তড়িঘড়ি বিষয়টি নিয়ে গোলমাল ধামাচাপা দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন দলের যুব নেতৃত্ব। কোঝিকোড় ডিওয়াইএফআই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা ভিন্নধর্মে বিয়ে এবং অসাম্প্রদায়িক বিয়ে সমর্থন করে।
এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে গত ৯ এপ্রিল। জোত্স্না, পশ্চিম এশিয়ার একটি দেশে নার্সের কাজ করেন। সেখান থেকে ফিরেছিলেন। বাড়িতে এই বিয়ের অনুমতি দেয়নি। তারপরই তিনি সেজিনের সঙ্গে পালিয়ে যান। স্থানীয় ক্যাথলিক যাজকরা পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে জোত্স্নার মা-বাবাও গিয়েছিলেন। তাঁরা জোত্স্না নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন, থানায় এমন অভিযোগ দায়ের করেন। এর মধ্যে ওই নবদম্পতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেখানে জোত্স্না দাবি করেন, তাঁকে অপহরণ করা হয়নি। তিনি স্বেচ্ছায় সেজিনের সঙ্গে বিয়ে করেছেন। তাঁদের বিয়ের ছবিও প্রকাশ করেন নবদম্পতি। মঙ্গলবার ওই দম্পতি আদালতে গিয়ে জানান, তাঁরা একসঙ্গেই থাকতে চান।
Read story in English