চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ৯০০ জনকে সাহসিকতার জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার দেওয়া হল। সেই তালিকায় স্থান পেয়েছেন সিআরপিএফ এএসআই মোহন লাল-সহ আইটিবিপি আইজি এবং দুই জন সিবিআই আধিকারিক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, মোহনলাল পুলওয়ামা হামলার সময় বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিলেন। এবং সেই গাড়িকে গুলি করে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। পাশাপাশি আইটিবিপি আইজি ইন্দো-চিন সংঘাত রোধে ভারতীয় তরফে আলোচনার দায়িত্বে।
অন্যদিকে, পুরস্কারপ্রাপকের তালিকায় জায়গা পাওয়া দুই সিবিআই আধিকারিক বহুচর্চিত হাথরস মামলা এবং জম্মু-কাশ্মীর রশ্মি মামলার তদন্তকারী আধিকারিক। রাইজিনা হিল সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক প্রাপকের তালিকায় এবার মাত্র দুই জনের নাম। একজন ঝাড়খণ্ড পুলিশের এএসআই বানুয়া ওঁরাও আর অপরজন সিআরপিএফ এএসআই মোহনলাল। দুজনকেই মরণোত্তর সম্মানে ভূষিত করা হয়েছ। ২০১৮ সালের মাও-প্রতিরোধী অভিযানে গিয়ে শহিদ হয়েছেন এএসআই বানুয়া আর পুলওয়ামা হামলায় শহিদ মোহনলাল।
আরও পড়ুন মোদিই বালাকোট স্ট্রাইকের খবর আগে দেয় অর্ণবকে! বিস্ফোরক দাবি রাহুলের
সিআরপিএফ সূত্রে খবর, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ঘটনার দিন মোহন লাল একটা অসামরিক লাল গাড়িকে সিআরপিএফ কনভয়ের পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে। সেটা দেখে সন্দেহ হয় মোহনের। সেই গাড়ি চেষ্টা করছিল কনভয়ে ঢোকার। সেই সময় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে পুলওয়ামারা লেথপোড়া এলাকায় কর্তব্যরত ছিলেন মোহন লাল। সন্দেহভাজন সেই গাড়িকে ধাওয়া করে, গুলি চালিয়ে থামানোর চেষ্টা করেন এএসআই মোহন লাল।
কিন্তু গাড়ির গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে তিনি পরের ব্যারাকে বিপদবার্তা পৌঁছে দেন। কিন্তু তার আগেই সেই গাড়ি কনভয়ে থাকা একটা সামরিক গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপরেই সেই বিস্ফোরণ। যার জেরে শহিদ হয়েছেন ৪০-এর বেশি জওয়ান।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন