Advertisment

ছত্তীশগড়ে CRPF ক্যাম্পে উত্তেজনা, সহকর্মীর গুলিতে নিহত বাংলার জওয়ান

নিজেদের মধ্যে বচসার জেরেই মর্মান্তিক এই পরিণতি বলে অনুমান।ওই জওয়ানের গুলিতে ক্যাম্পে থাকা মোট চার জওয়ানের মৃত্যু, জখম তিন

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CRPF jawan opens fire at colleagues in Chhattisgarhs Sukma camp; 4 killed, 3 injured

সিআরপিএফ ক্যাম্পে গুলি।

ছত্তীশগড়ে সিআরপিএফ ক্যাম্পে আচমকা গুলি। সহকর্মীর গুলিতে নিহত ৪ জওয়ান। গুলিবিদ্ধ আরও ৩ জন। নিজেদের মধ্যে বচসার জেরেই মর্মান্তিক এই পরিণতি বলে অনুমান। যদিও সিআরপিএফ-এর তরফে এব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। নিহত ৪ জওয়ানের মধ্যে একজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা রাজীব মণ্ডল। সোমবার ভোররাতে সুকমার লিঙ্গামপল্লি ক্যাম্পে ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisment

সিআরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআরপিএফ জওয়ান রীতেশ রঞ্জন এদিন ভোররাতে তাঁর সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। দিন কয়েক আগেই বেশ কয়েজকন সহকর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত একটি বিষয় নিয়ে জওয়ান রীতেশ রঞ্জনের বচসা হয়েছিল। তবে ওই ঘটনার জেরেই তিনি গুলি চালিয়েছেন কিনা তা তা স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিন গুলিতে নিহত হন ধনজি, রাজীব মণ্ডল, রাজমণি কুমার যাদব এবং ধর্মেন্দ্র কেআর সিং নামে ৪ জওয়ান।

গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ধনঞ্জয় কুমার, ধর্মাত্ম কুমার এবং মলয় রঞ্জন মহারানা নামে আরও তিন জওয়ান। জখম ধনঞ্জয় এবং ধর্মাত্মকে বিমানে রায়পুরের মহারানা ভদ্রাচলম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই দুই জওয়ান। স্থানীয় মারাইগুদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, নিহত চার জওয়ানের মধ্যে তিনজন বিহারের বাসিন্দা এবং একজনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে।

এদিকে, এদিন ভোররাতে এই ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত রীতেশ রঞ্জন নামে ওই জওয়ানকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সুকমার লিঙ্গামপল্লি ক্যাম্পের সিআরপিএফ-এর একটি সূত্র জানিয়েছে, ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দিন কয়েক আগেই ওই জওয়ান বচসায় জড়িয়েছিলেন। কিন্তু ওই জওয়ান যে এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন তার আঁচ আগে মেলেনি। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জওয়ান ১৩ নভেম্বর থেকে ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুরও করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- ভর সন্ধেয় শ্রীনগরে জঙ্গি হানা, এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল

সিআরপিএফ-এর সিনিয়র অফিসাররা জানিয়েছেন, হেফাজতে নেওয়ার পর রঞ্জন কিছু জানাতে অস্বীকার করেছেন। এক পদস্থ সিআরপিএফ কর্তা বলেন, “আমরা তাঁর রাইফেল নিয়ে নিয়েছি। ওঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কেন তিনি গুলি ছুঁড়লেন তা জানতে ওঁর সব জিনিসপত্র ও এবং ফোন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “রঞ্জন একজন প্রশিক্ষিত জওয়ান ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে ওই এলাকায় তিনি কাজ করছিলেন। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত করছি।’’ এদিকে, ছত্তীশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও সুকমার সিআরপিএফ ক্যাম্পের এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। এই ধরনের ঘটনা রুখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে পুলিশ অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Read full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

CRPF Sukma
Advertisment