গোষ্ঠী সংঘর্ষের আশঙ্কায় জারি কারফিউ। বন্ধ করে দেওয়া হল ইন্টারনেট পরিষেবা। জম্মু-কাশ্মীরের ভাদেরওয়াহ শহরে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু বিতর্কিত পোস্টের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পরিস্থিতি এই আশঙ্কায় কাশ্মীর পুলিশ জম্মু-কাশ্মীরের ভাদেরওয়াহ শহরে কারফিউ জারি করেছে। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শহরের ইন্টারনেট পরিষেবাও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যাকে ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের আশঙ্কায় কাশ্মীর পুলিশ। তড়িঘড়ি বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। পাশাপাশি মানুষের কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষারও আবেদন জানানো হয়েছে। তবে কে বা কারা এই উত্তেজক ভিডিও তৈরি করেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আরও একটা ঢেউ নাকি করোনা মুক্তি! কী বললেন হু’র প্রধান বিজ্ঞানী?
ডোডা জেলার ভাদেরওয়াহ শহরে একটি মন্দিরকে অপবিত্র করার অভিযোগ উঠেছে। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা করছে কাশ্মীর পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত পুলিশ-প্রশাসনের।
সূত্রের খুবর নূপুর শর্মার শিরশ্ছেদ করার হুমকি পোস্টকে ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। স্থানীয় একজন মুসলিম ধর্মগুরুর মন্তব্যের পরই পাল্টা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কারফিউ জারি করা হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই একটি করে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হারিয়েছে স্কুল,‘প্রেমের পোশাকে’ ধ্বংসস্তুপে একা কিশোরী! চোখের জলে ভাসল নেটদুনিয়া
এদিকে এই ঘটনার জেরে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক টুইট বার্তায় সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন “এমনিতেই কাশ্মীরে অনেক সমস্যা রয়েছে অযথা নিজেদের মধ্যে কোনরকম অশান্তি সৃষ্টি করবেন না, এলাকার শান্তি বজায় রাখুন”। তিনি বলেন, “আমি আমার দলের সহকর্মীদের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছি”।