সোমবার রাত ৯.৩০ থেকে ১১.৩০টার মধ্যে বরিশালের কাছে তিনকোণা ও সন্দ্বীপের মাঝে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে।
পূর্বাভাস মতো সোমবার রাতেই বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সোমবার রাত ৯.৩০ থেকে ১১.৩০টার মধ্যে বরিশালের কাছে তিনকোণা ও সন্দ্বীপের মাঝে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে। যার ফলে রাত থেকে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় বাংলাদেশে। ঢাকা, বরিশাল, নড়াইল-সহ একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ৯ জনের মৃত্যির খবর মিলেছে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
Advertisment
তবে ভাল খবর বাংলার জন্য। বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালালেও পশ্চিমবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে। সকাল থেকেই রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ। গতকাল রাতের পর থেকে বৃষ্টি কমেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার আরও উন্নতি হবে।
সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপ থেকে তোলা কুমিরমারী রায়মঙ্গল নদী। সকাল থেকেই রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে ৫৬ কিমি প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসে। যার ফলে বাংলার দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। কালীপুজো ও দীপাবলির আনন্দ মাটি হয় দুর্যোগের কারণে।
গতকাল রাতে সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ বরিশালের কাছে ল্যান্ডফল করে। ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিমি। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের। তবে মঙ্গলবার সন্ধের পর থেকে ঝড় দূর্বল হবে। নিম্নচাপে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়। বৃষ্টিপাতও কমবে তার পর।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশের ১৩টি জেলায় পড়েছে। বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে সোমবার বিকেল থেকেই বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ থাকে ফেরি ও নৌকা চলাচল।