করোনা রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডে অনাহারে তরুণীর মৃত্য়ুর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে, 'অনাহারে নয়', রোগভোগের জেরেই ওই তরুণীর মৃত্য়ু হয়েছে বলে কার্যত মুচলেকা লিখিয়ে তাতে তরুণীর বাবা-মায়ের বুড়ো আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য়রা জোর করে কাগজে তরুণীর বাবা-মায়ের বুড়ো আঙুলের ছাপ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঝাড়খণ্ডের বোকারোর তিখারা গ্রামের বাসিন্দা জিতেন মারান্ডির একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে যায়। যে ভিডিওতে মারান্ডিকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, অনাহারে তাঁদের মেয়ের মৃত্য়ু হয়েছে। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই উপরমহল থেকে চাপ দেওয়াতেই বুড়ো আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: করোনায় ডাক্তার-স্বাস্থ্য়কর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য়কে নির্দেশ কেন্দ্রের
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মারান্ডি বলেন, ''মেয়ের মৃত্য়ুতে শোকস্তব্ধ ছিলাম। জানতাম না ওই কাগজে কী লেখা ছিল। কয়েকজন এসে বুড়ো আঙুলের ছাপ নিয়ে যান''।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ মার্চ লকডাউনের জেরে কাজ না থাকায় পাশের রামগড় জেলা থেকে গ্রামে ফেরেন মারান্ডি পরিবার। তাঁর মেয়ে বধির ও প্রতিবন্ধী ছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় সম্প্রতি। মারান্ডি পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ''যেটুকু টাকা তাঁদের কাছে ছিল, সবটাই মেয়ের ওষুধ কিনতে গিয়ে খরচ হয়ে যায়। ফলে হাসপাতালে চেক আপ করতে পারেননি''।
এ ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, ''একটা প্রতিবন্ধী মেয়ে অনাহারে মারা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে। দুর্ভাগ্য়জনক ঘটনা''।
Readthe full story in English