কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। বিরোধীরা এবং সংবাদমাধ্যমে শোরগোল হতেই ঢোঁক গিললেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। সোমবার নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মালিকের মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রী সঠিক পথেই চলেছেন।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। তাঁর দাবি, "শাহ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু আমাকে বলেছিলেন, মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করতে। মালিক বলেছেন, শাহ আমাকে জিজ্ঞেস করেন, কেন আমি বিবৃতি দিচ্ছি! কিন্তু আমি যখন তাঁকে বলি সরকারকে মধ্যবর্তী পন্থা অবলম্বন করতে হবে কৃষকদের জন্য এবং তাঁদের মরতে দেওয়া যাবে না, তখন তিনি আমার কথা বোঝেন।"
উল্লেখ্য, একদিন আগেই সত্যপাল মালিক কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেছিলেন। হরিয়ানার দাদরিতে একটি অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেন, কৃষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঔদ্ধত্য দেখান মোদী। "কৃষকদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ওঁর সঙ্গে পাঁচ মিনিটে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। ওঁর বড্ড অহঙ্কার ছিল। যখন আমি ওনাকে বললাম, আমাদের ৫০০ জন মারা গিয়েছেন, তখন তিনি বলেন, আমার জন্য মরেছে?"
আরও পড়ুন ‘কৃষি আইন নিয়ে কথা বলেছিলাম, ঝগড়া করেছিলেন মোদী’, প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় সত্যপাল মালিক
"তখন আমি ওনাকে বলি, আপনার জন্যই তো মরেছে। আপনি ওঁদের জন্য রাজা হয়েছেন। যাই হোক, ঝগড়া হয়ে যায় আমাদের। উনি বললেন, তুমি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করো। শাহের সঙ্গে যখন দেখা করলাম, তখন উনি বললেন, সত্যপাল ওঁর বুদ্ধি নষ্ট করে দিয়েছে কেউ কেউ। তুমি চিন্তা কোরো না। দেখা করতে থাকো, একদিন না একদিন উনি বুঝতে পারবেন।"
সোমবার এই মন্তব্য অস্বীকার করেছেন মালিক। বলেছেন, "না এটা ভুল। শাহ এমন কোনও কথা আমাকে বলেননি। বরং উনি বলেছেন, লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে।" এদিন মোদীর প্রসঙ্গে ঢোঁক গিলে মালিক বলেন, "আমি জনসমক্ষে স্বীকার করেছি এবং মোদীর প্রশংসা করেছি কারণ উনি যে পদক্ষেপ করেছেন তা প্রশংসনীয়। যখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তিনি তখন কৃষকদরদী ছিলেন, তিনি এমএসপিকে আইনত স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, তাঁকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। শেষে যখন তিনি বুঝলেন যে কৃষকরা এই আইন মেনে নিচ্ছেন না, তখন নিজের মনের কথা শুনে আইন প্রত্যাহার করেন তিনি। এবং ক্ষমা চান। এটাই বোঝায় তাঁর মন কত বড়। এখন তিনি সঠিক পথে রয়েছেন।"