/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/nirbhaya-1.jpg)
নির্ভয়াকাণ্ডের চার দোষী মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় কুমার শর্মা, অক্ষয় সিং। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
রাত পোহালেই নির্ভয়ার চার দোষীর ফাঁসি হওয়ার কথা তিহার জেলে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় তিহার জেলে ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা, অক্ষয় কুমার সিংয়ের। ফাঁসির আগে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে তিহার জেলে।
উল্লেখ্য়, তিহার জেলে এর আগে ফাঁসি হয়েছিল ২০১৩ সালে। সে বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হয়েছিল আফজল গুরুর। তবে এই প্রথম একসঙ্গে ৪ জনের ফাঁসি হতে চলেছে এই জেলে, সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই খবর।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় রবিবার দেশে জনতা কার্ফু, ঘোষণা মোদীর
তিহার জেলে বন্দির সংখ্য়া ১৬ হাজারেরও বেশি। ফাঁসির প্রস্তুতি করতে মঙ্গলবার তিহার জেলে মিরাট থেকে এক ফাঁসুড়ে এসেছেন বলে খবর। দিল্লি প্রিজন আইন ২০১৮ অনুযায়ী, সুপার, ডেপুটি সুপার, মেডিক্য়াল অফিসার ইন-চার্জ, রেসিডেন্ট মেডিক্য়াল অফিসার, জেলাশাসক বা অতিরিক্ত জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ফাঁসি দেওয়া হবে। এছাড়াও দুই হেড কনস্টেবল, হেড ওয়ার্ডার, সশস্ত্র গার্ড উপস্থিত থাকবেন। তবে ফাঁসির সময় দোষীদের পরিবারের কোনও সদস্য় থাকতে পারবেন না। ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত জেলের অন্য়ান্য় বন্দিদের সেলের মধ্য়ে রাখতে হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত পবন গুপ্তের কিউরেটিভ পিটিশন নাকচ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিশেষ বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকা বিচারপতি এন ভি রমণ বলেন, “আমাদের মতে, কোনও যুক্তি খাড়া করা যায়নি”। পবন গুপ্ত জানিয়েছিল, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২ সালে দিল্লিতে ঘটা ওই ঘটনার সময় সে নাবালক ছিল। এর আগে বুধবার মৃত্যুদণ্ড নাকচ করার আবেদন জানায় মুকেশ সিং। সেই আর্জি মামলার রায়দান মুলতুবি রাখে দিল্লি হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে আবেদন জানিয়ে বিফল হওয়ার পর চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুকেশ সিং। নিম্ন আদালতে মুকেশ জানিয়েছিল, ঘটনার দিন দিল্লিতেই ছিল না সে। গত সোমবার মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানিয়ে অন্তর্জাতিত ন্য়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় তিন অপরাধী। উল্লেখ্য়, এর আগে তিনবার পিছিয়ে গিয়েছে নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন