New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/migrant-759-1.jpg)
পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়।
'খাদ্য় বিতরণ করা হচ্ছিল তখন। সেসময়ই একদল খাবার না নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাওয়ার দাবি জানান''।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়।
করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধির ঘোষণা হতেই বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। মুম্বইয়ের বান্দ্রা পশ্চিম বাস ডিপোয় ঘরে ফেরার দাবিতে জড়ো হলেন অগণিত পরিযায়ী শ্রমিক। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য় গাড়ির ব্য়বস্থা করার দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ বান্দ্রা পশ্চিম বাস ডিপোয় জড়ো হন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এ প্রসঙ্গে যুগ্ম কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) বিনয় কুমার চৌবে বলেন, ''খাদ্য় বিতরণ করা হচ্ছিল তখন। সেসময়ই একদল খাবার না নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাওয়ার দাবি জানান''। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, অনেকেই রেশন না নিয়ে বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করার দাবি জানান।
The current situation at Bandra Station, now dispersed or even the rioting in Surat is a result of the Union Govt not being able to take a call on arranging a way back home for migrant labour. They don’t want food or shelter, they want to go back home
— Aaditya Thackeray (@AUThackeray) April 14, 2020
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে দ্বিতীয় দফার লকডাউন কেমন হবে? জেনে নিন একনজরে
পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। যুগ্ম কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) বিনয় কুমার চৌবে জানান, ''যেহেতু বড় জমায়েত হয়ে গিয়েছিল, তাই আমরা পুলিশের আরও বাহিনীকে মোতায়েন করি। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়''।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশমন্ত্রী আদিত্য় ঠাকরে বলেছেন, ''বান্দ্রা স্টেশনের কাছে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। কেন্দ্র সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরার বন্দোবস্ত করতে পারছে না, তার জেরেই এ ঘটনা ঘটছে। তাঁরা খাবার-আশ্রয় চান না, তাঁরা ঘরে ফিরতে চান''।
উল্লেখ্য়, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ১০,৩৬৩ জন। যাঁদের মধ্যে ১০৩৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ৩৩৯। দেশের মধ্য়ে করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন