চিকিৎসকেরা রীতিমতো হতভম্ব দিল্লির এইমস কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে। দেশের এই প্রথম সারির হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক- আধ্যাপকদের জাত ধর্ম সম্পর্কে সব তথ্য বিশদে জানতে চাইছে এক ফর্মে।
এক পাতার ফর্মে সিনিয়র ডাক্তারদের নাম, বয়স, বেতন, নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যের পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়েছে চিকিৎসকের জাত এবং ধর্ম বিষয়ক তথ্য।
এই প্রসঙ্গে জানতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল দিল্লি এইমস-এর ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়ার সঙ্গে। গুলেরিয়া জানিয়েছেন, এরকম কোনও তথ্যমূলক ফর্মের বিষয়ে অবগত নন তিনি। "সিনিয়র চিকিৎসকদের কাছ থেকে কখনওই ধর্ম অথবা জাত নিয়ে কোনো তথ্য জানতে চাওয়ার কথাই নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এইমস-এ আমরা চিকিৎসকের ধর্মগত অথবা জাতিগত পরিচয় নিয়ে আদৌ চিন্তিত নই। আর এসব জানতে চাওয়া ন্যায়সঙ্গতও নয়", জানিয়েছেন গুলেরিয়া।
হাসপাতালের এক সিনিয়র চিকিৎসক জানালেন, "এটা অপ্রত্যাশিত। হাসপাতালের চিকিৎসকের জাত ধর্ম জেনে কী করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও ছাত্রছাত্রীদের আপত্তি থাকে এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ায়।
আরও পড়ুন, ‘হিন্দু মেয়ের গায়ে হাত পড়লে কেটে ফেলা উচিত’
দিল্লি এইমস-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর ডঃ এমসি মিশ্র জানিয়েছেন তিনি আগে এমন কখনও শোনেননি। "এইমস-এর মতো প্রতিষ্ঠানে আমাদের এসব নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকা উচিত", জানিয়েছেন ডঃ মিশ্র।
এইমস-এর প্রশাসনিক শাখার অধ্যাপক নিয়োগ বিভাগ অবশ্য জানিয়েছে, ভুলবশত ওই সব প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক শাখার প্রধান ডঃ সঞ্জয় আরিয়া জানিয়েছেন, "সিনিয়র চিকিৎসকদের ডেটাবেস তৈরির জন্য একটি ফর্ম পাঠানো হয়েছিল। সেখানে জাতধর্ম সংক্রান্ত তথ্যের প্রয়োজন ছিল না। ভুল করে ওই সব প্রশ্ন জুড়ে গিয়েছে ফর্মে"।