দিল্লিতে ভোর ৩ টে পর্যন্ত খুলে রাখা যাবে রেস্তোরাঁ এবং পাবগুলি, দিল্লি সরকারের এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শহরের রেস্তোরাঁ এবং পাবগুলির মালিকরা। তাদের কথায়, মহামারীর কারণে তাদের ব্যবসার যে ক্ষতি হয়েছিল সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সেই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করা যাবে। যদিও রেস্তোঁরাগুলি ভোর ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক নির্দেশ জারি করা হয়নি, তবে সূত্রের খবর শীঘ্রই এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে।
এপ্রসঙ্গে দিল্লির এক রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে শহরের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। অতিরিক্ত কর ও আবগারি আদায়ের কারণে সরকার লাভবান হবে সেই সঙ্গে বেশ কিছু নয়া কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি গ্রাহকরা উপকৃত হবেন কারণ তারা একটি প্রাণবন্ত নাইট লাইফ উপভোগ করতে পারবেন এবং মহামারীর কারণে তাদের ব্যবসার যে ক্ষতি হয়েছিল সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সেই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হবে বলে জানান তিনি।
রিয়াজ আমলানি, ইমপ্রেসারিও হ্যান্ডমেড রেস্তোরাঁর সিইও বলেন, “এই সিদ্ধান্ত কেবল নাইট লাইফকেই প্রাণবন্ত করে তুলবে তাই নয় বরং পর্যটনকেও ব্যবসাও উপকৃত হবে’। তিনি বলেন “আমি মনে করি এটি একটি ভাল পদক্ষেপ। আমরা দিল্লি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এটা করার জন্য বিশেষত কোভিডের পরে, শহরের রেস্তোরাঁ এবং পাবগুলির জন্য এটা একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ”। পাশাপাশি তিনি বলেন বিশ্বের যে কোন উন্নত শহর যেমন নিউইয়র্ক, লন্ডন, দুবাই বা হংকংই সব শহরের একটাই মিল সেটা হল শহরের নাইট লাইফ। আর এই সিদ্ধান্তের ফলে দিল্লির মানুষও সেই নাইটলাইফ উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত নতুন দুই বিচারপতি, পূর্ণ ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত
দ্য বিয়ার ক্যাফের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও রাহুল সিং বলেছেন, ‘মহামারী চলাকালীন পুরো শিল্পটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আমরা আমাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও সামাল দিতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। অনেকেই হয়তো বলবেন আইনশৃঙ্খলার কথা! বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনগুলি সারাদিনই খোলা থাকে সেখানে কি আইন শৃঙ্খলার কোন সমস্যা দেখা যায় প্রশ্ন সিংয়ের। আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তখনই ঘটে যখন রাস্তায় কোন মানুষ থাকে না। মানুষ থাকলে সেই সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
Read story in English