দীর্ঘ কয়েক মাস পর ফের পূর্ণ ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্রীয় সরকার শনিবার গৌহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি জামশেদ বুর্জর পারদিওয়ালাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে পদোন্নতির সুপারিশ করেন।
এই দুই বিচারপতির নিয়োগের কথা উল্লেখ করে একটি টুইট করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি লেখেন, ‘ভারতের সংবিধানের অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগে নিম্নলিখিত প্রধান বিচারপতি (গুয়াহাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া) এবং একজন বিচারপতিকে (গুজরাট হাই কোর্টের বিচারপতি জামশেদ বরজোর পারদিওয়ালা) ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারুতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। আমি তাঁদের জন্য আমার শুভেচ্ছা জানাই।’
ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম ৫’মে নিয়োগের জন্য ২ বিচারপতির নাম সুপারিশ করেছিল। কলেজিয়ামের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এএম খানউইলকর, ডিওয়াই চন্দ্রচূদ এবং এল নাগেশ্বর রাও। আপাতত শূন্যস্থান পূরণ হলেও শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতি অবসর নেবেন। এর জেরে ফের শূন্যস্থান তৈরি হবে শীর্ষ আদালতে।
বিচারপতি ধুলিয়ার জন্ম ১৯৬০ সালের ১০ অগস্ট। বিচারপতি ধুলিয়া ১৯৩০ সালে আধুনিক ইতিহাসে তাঁর স্নাতকোত্তর এবং ১৯৮৬ সালে এলএলবি সম্পন্ন করেন। ২০০৮ সালের ১ নভেম্বর উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে উন্নীত হন। পরে ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি গুয়াহাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হন তিনি।
আরও পড়ুন: জামশেদপুরে টাটা স্টিল প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আহত ৩
অন্যদিকে বিচারপতি পারদিওয়ালা জন্ম মুম্বইতে। ১৯৮৮ সালে ভালসাডের কেএম মুলজি ল কলেজ থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৮৯ সালের মার্চ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত সপ্তম গুজরাট বিধানসভার স্পিকারও ছিলেন তিনি। বিচারপতি পারদিওয়ালার দাদাও ছিলেন একজন বর্ষীয়ান আইনজীবী।
বিচারপতি পারদিওয়ালা ১৯৯০ সালে গুজরাটের হাইকোর্টে আইনজীবী হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। করেন। ১৯৯৪ সালে গুজরাটের বার কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন এবং ২০০২ থেকে গুজরাট হাইকোর্টের স্থায়ী আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। ২৮ জানুয়ারি ২০১৩ তিনি গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন।
Read story in English