দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী হিংসা মামলায় নতুন মোড়। যে হনুমান জয়ন্তীর মিছিল ঘিরে গন্ডগোলের সূত্রপাত, তার কোনও পুলিশি অনুমতিই ছিল না। গত মাসে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর মিছিল ঘিরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়। যা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। দিল্লির রোহিণীর আদালত এর প্রেক্ষিতে প্রশ্ন তুলেছে, বিনা অনুমতির মিছিলে কী করে পুলিশ উপস্থিত ছিল। কেন পুলিশ সেই মিছিল বন্ধ করেনি? এই মিছিল আর তার জেরে হওয়া হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বাধীন দিল্লি পুলিশের ভূমিকাই তদন্ত করে দেখা উচিত বলে জানিয়েছে আদালত।
১৬ এপ্রিল, ঘটনার দিন জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃতীয় মিছিলের সময় সংঘর্ষ ছড়ায় বলে আদালত জানতে পেরেছে। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক গগনদীপ সিং তাঁর নির্দেশে বলেছেন, 'ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের কোনও ঘটনা না-ঘটে এবং পুলিশ বেআইনি কর্মকাণ্ড রোধে আত্মতুষ্ট না-হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।' আদালতের নির্দেশমতো কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানাতে হবে পুলিশকর্তাদের। সেই কারণে, নির্দেশনামার কপি দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
জাহাঙ্গিরপুরীতে ১৬ এপ্রিলের ঘটনায় অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাতেও মোটেও সন্তুষ্ট নয় আদালত। এই ব্যাপারেও আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিচারক বলেন, 'রাজ্যের পক্ষ থেকে এটা মোটামুটিভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে শেষ মিছিলটি, যা জাহাঙ্গিরপুরী দিয়ে যাচ্ছিল, আর যাকে ঘিরে দুর্ভাগ্যজনক দাঙ্গা হয়েছিল, সেই পুলিশের অনুমতি ছাড়াই আয়োজন করা হয়েছিল।'
আরও পড়ুন- বিধানসভার গেটে খলিস্তানি পতাকা, দোষীদের রেয়াত নয়, সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
আদালত আরও জানিয়েছে যে, এফআইআর থেকেই স্পষ্ট ইনস্পেক্টর রাজীব রঞ্জনের নেতৃত্বে জাহাঙ্গিরপুরী থানার কর্মী ও আধিকারিকরা বেআইনি মিছিলটিকে থামানোর কোনও চেষ্টাই করেননি। বরং, তাঁরা ওই পথে সেই 'অবৈধ মিছিলের সঙ্গে'ই ছিলেন। বিচারক বলেন, 'এফআইআরে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে যে, স্থানীয় পুলিশ প্রথমেই ওই বেআইনি মিছিলটি থামাতে ও ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে পারতেন। কিন্তু, তাঁরা সেই দায়িত্ব পালন করার পরিবর্তে, পুরো রুটে মিছিলের সঙ্গে ছিলেন। যা পরবর্তীতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দুর্ভাগ্যজনক দাঙ্গার চেহারা নেয়।'
Read story in English