অফিসিয়াল কাজে এবার থেকে পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ চালিত গাড়িকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চলেছে দিল্লি সরকার। ভাড়া এবং লিজের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বিদ্যুতচালিত গাড়ি। তবে পেট্রোল ডিজেল চালিত গাড়ি এখনি বন্ধ করা হবে না বলেও জানিয়েছে সরকার।
আমলা, মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ির ব্যবহার যেমন চলছিল তেমনই চলবে বলে জানিয়েছে দিল্লি সরকার। গত বছর অগাস্টে দিল্লি সরকার বৈদ্যুতিক যানবাহনের ওপর এক বিশেষ কমিটি গঠন করে। তবে সূত্রের খবর সরকার এখনই বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির কেনার ব্যপারে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। তার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে গাড়িগুলো ব্যয়বহুল, সেই সঙ্গে চার্জিং পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। তবে যে গাড়িগুলি সরকারি কাজে ভাড়া অথবা লিজ নেওয়া হবে সেগুলি বিদ্যুৎ চালিত হবে বলেও সরকারের তরফে জানান হয়েছে।
এবিষয়ে দিল্লি সরকারের এক সিনিয়র আধিকারিক বলেন, ‘সরকারি কাজে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যবহার সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই গাড়ির প্রতি এক আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করবে। মানুষ পেট্রোল ডিজেলের পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠবে ফলে দূষণের মাত্রা অনেকটা কমবে’। সম্প্রতি এক রিপোর্টে দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রাকে ভয়ঙ্কর বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে দ্বাদশে অঙ্ক-পদার্থবিদ্যা বাধ্যতামূলক, জানিয়ে দিল AICTE
দিল্লি সরকারের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে "জিএনসিটিডি অফিসারদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত সমস্ত লিজড/ভাড়া করা গাড়িগুলি হতে হবে বিদ্যুতচালিত। তবে সেই তালিকায় বাদ রয়েছে বিশেষ ক্যাটাগরির যানবাহন যেমন অ্যাম্বুলেন্স, দমকলের গাড়ি।
সরকারি সকল ক্ষেত্রে ইভি কার্যকর করার ক্ষেত্রে কি বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আর্থিক সমস্যা? এই প্রশ্নের জবাবে পরিবহন কমিশনার আশিস কুন্দ্রা বলেন, “খরচ কোন সমস্যা নয় কারণ সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারের প্রতি তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রক্ষণাবেক্ষণ, চার্জিং পরিকাঠামো ইত্যাদির মতো গৌণ খরচগুলি পরিচালনা করতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশন তৈরি করতে হবে সেগুলো সময় সাপেক্ষ ব্যপার। এর সঙ্গে সরকার সব দফতরের জন্য বিদ্যুতচালিত গাড়ির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেনি”। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বৈদ্যুতিক গাড়ি ইতিমধ্যেই ভাড়া এবং লিজ নেওয়া শুরু করেছি। সরকার ভবিষ্যতেও ধীরে ধীরে এই ধরনের গাড়ি কেনা বাধ্যতামূলক করবে।”
Read in English