Advertisment

হিন্দি বা ইংরাজিতেই কথা বলতে হবে নার্সদের, বিতর্কের জেরে নির্দেশিকা প্রত্যাহার হাসপাতালের

Delhi Hospital Malayalam: রাহুল গান্ধী টুইট করে কটাক্ষ করেছেন, "মালয়ালম আরও অন্য ভাষার মতো খাঁটি ভারতীয়। তাই এই ভাষাবৈষম্য বন্ধ করুন!"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Health Workers, Covid-19

দিল্লির একটি কোভিড কেয়ার সেন্টারে স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Delhi Hospital Malayalam: একটি বিতর্কিত ঘোষণা আর তার জেরে দেশজুড়ে তোলপাড়। দিল্লির গোবিন্দ বল্লভ পন্থ ইনস্টিউটে মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারে নার্সিং স্টাফদের মালয়ালমে কথা বলা যাবে না মর্মে সার্কুলারের জেরে হইচই রাজধানীতে। শনিবারই এই সার্কুলার জারি করে এই সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তুমুল বিতর্কের জেরে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় রবিবার।

Advertisment

কী বলা হয়েছে এই সার্কুলারে?

শনিবার নার্সিং সুপার জানান, একটি অভিযোগ আসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে যে অধিকাংশ রোগী ও তাঁর পরিজনদের ভাষাগত সমস্যা হচ্ছে নার্সিং স্টাফদের সঙ্গে। সিংহভাগ নার্স এখানে কেরালার। তাই তাঁরা মালয়ালম ভাষায় কথা বলতে স্বচ্ছন্দ্য বেশি। কিন্তু তার জন্য ভুক্তভোগী হচ্ছেন রোগী ও পরিজনরা। এমনকী অন্য নার্সিং স্টাফরাও অসুবিধায় পড়ছেন। ফলত, সমস্ত নার্সিং স্টাফদের নির্দেশ দেওয়া হয় কথোপকথনের জন্য হিন্দি অথবা ইংরাজি ব্যবহার করতে হবে।

কিন্তু এই সার্কুলারের জেরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। দক্ষিণের রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা এই নির্দেশিকার প্রতিবাদ জানান। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার জন্য প্রাদেশিকতার অভিযোগ ওঠে। বেগতিক দেখে নির্দেশিকার প্রত্যাহার করে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রবিবার হাসপাতালের এমডি ডা. অনিল আগরওয়াল জানিয়েছেন, এই নির্দেশিকা দিল্লি সরকার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জারি করেনি। আমি এই বিষয়ে অবগত ছিলাম না। তবে এর জন্য যাঁরা দায়ী তাঁদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাতৃভাষায় কথা বলা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই এর উপর কোও নির্দেশিকার চাপিয়ে দেওয়া যায় না।

আরও পড়ুন ভ্যাকসিন থেকে বিপুল টাকা লাভ করছে রাজ্য সরকার, তদন্তের দাবি বিজেপির

তবে এই বিতর্ক রাজনৈতিক রূপ ধারণ করেছে। অনেক রাজনীতিবিদ এই নির্দেশিকার তীব্র নিন্দা করেছেন। রাহুল গান্ধী টুইট করে কটাক্ষ করেছেন, "মালয়ালম আরও অন্য ভাষার মতো খাঁটি ভারতীয়। তাই এই ভাষাবৈষম্য বন্ধ করুন!" কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ কে সি বেণুগোপাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে চিঠি লিখে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করার আবেদন করেন। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর এই সার্কুলারকে অপ্রত্যাশিত, ঘৃণাত্মক এবং ভারতীয় নাগরিকের মৌলিক অধিকারে আঘাত বলে তোপ দেগেছেন টুইটে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

delhi
Advertisment