অলোক ভার্মা এবং এ.কে. শর্মাকে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) অফিসে গিয়ে রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। বুধবার ভর্মার আইনজীবী আদালতকে জানান যে আস্থানার আবেদনে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ রয়েছে। এরপরই বিচারপতি নাজমি ওয়াজিরি অলোক ভার্মাকে বৃহস্পতিবার সিভিসি-র অফিসে গিয়ে তদন্তের অনুমতি দেন। এরপরই শর্মাকেও শুক্রবার সিভিসি-র অফিসে গিয়ে নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি দেন বিচারপতি।
সিবিআই-এর অপসারিত স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের বিচার চলছে দিল্লি হাইকোর্টে। এই মামলায় সিবিআই-কে আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে, আস্থানা, কুমার এবং মধ্যস্থতাকারী মনোজ প্রসাদ এই মামলা বাতিলের আবেদন করেছেন। পৃথকভাবে সেই আবেদনটিরও শুনানি চলছে আদালতে।
অতীতে এই মামলার শুনানি চলাকালীন এ.কে. শর্মার আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের হাতে আস্থানার বিরুদ্ধে বড় প্রমাণ রয়েছে এবং তা তাঁরা মুখ বন্ধ খামে করে আদালতে জমা দেবেন। এরপরই আদালত ওই নথি সিবিআই-এর মাধ্যমে আদালতে জমা দিতে বলে।
সিবিআই-এর ডিরেক্টর পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করার কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর দিনই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অলোক ভার্মা। তিনি কেন্দ্রের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন। এরপরই সিভিসি-কে ভার্মার বিরুদ্ধে আস্থানার করা যাবতীয় অভিযোগের দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সিভিসি-র সেই রিপোর্ট হাতে পেয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তা তদন্ত সাপেক্ষ বলে মন্তব্য করেন বিচারপতিরা। এরপর সিভিসি-র পর্যবেক্ষমের উপর প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ভর্মাকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় আদালত।
Read the full story in English