প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন মহিলা। সেই ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করে বিপাকে যোগীর পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে তুমুল ভর্ৎসনা করল। সাফ জানিয়ে দিল, রাজধানী দিল্লিতে এই ধরনের বেআইনি কাজকর্ম চলবে না। প্রেমিক যুগলের আবেদনের ভিত্তিতে এদিন আদালতে শুনানি হয়।
যুগল হাইকোর্টে জানিয়েছেন, চলতি ১ জুলাই তাঁরা স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন। মহিলার মা-বাবা এই বিয়ের বিরুদ্ধে। আর সেই নিয়ে বার বার তাঁদের হুমকি দিতেন। সেই কেসে যুবকের বাবা এবং ভাইকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণের অভিযোগে। তারপর থেকে তাঁদের আর খোঁজ মিলছে না। পুলিশের এই কাজে ব্যাপক ক্ষুব্ধ আদালত। বিচারপতি মুক্তা গুপ্তা ইউপি পুলিশের আধিকারিককে ভর্ৎসনা করে বলেন, "এসব কাজ দিল্লিতে চলবে না। এসব বেআইনি কাজ। দিল্লিতে এসে যে কাউকে তুলে নিয়ে গিয়ে বলবেন, আমরা তো শামলি থেকে নিয়ে এসেছি আর গ্রেফতার দেখিয়ে দেবেন। এসব আমরা এখানে চলতে দেব না।"
আদালত এও জানিয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রত্যেক ধাপে আইন ভেঙেছে। আইন মেনে চলতে হবে পুলিশকে। কোনও বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না। আদালত বলেছে, "যদি আপনারা চোখ-কান বন্ধ করে কাজ করেন তবে আমাদের কাছে কোনও চিকিৎসা নেই। একবার দিল্লি এসে স্থানীয় থানার পুলিশকে জানাবেন। এর পর মামলা করবেন। নিজের মর্জি মতো যে কাউকে তুলে নিয়ে যাবেন? এটা চলে না। এটাই কি আইন বলে! প্রত্যেক ধাপে আইন ভেঙেছেন। এই জিনিস দিল্লিতে বরদাস্ত করা হবে না।"
আরও পড়ুন ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে মানহানি! মন্ত্রী নবাব মালিকের বিরুদ্ধে FIR ওয়াংখেড়ের বোন ইয়াসমিনের
আদালত ইউপি পুলিশকে প্রশ্ন করে, "কেন মেয়েটির বয়স যাচাই না করে মামলা করেছে পুলিশ! আপনারা কি জিজ্ঞেস করেছেন মেয়েটি নাবালক না সাবালক? যদি তিনি সাবালিকা হন তাহলে তাঁর ইচ্ছায় বিয়ে হবে না কি মায়ের! যখন তদন্ত করেন তখন অভিযোগকারীকে জিজ্ঞেস করেন না, সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নেন?" আদালত ইউপি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি সিসিটিভি ফুটেজে প্রমাণ হয় শামলি নয়, দিল্লি থেকে দুজনকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন