সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নির্মাণে স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করলো দিল্লি হাইকোর্ট। এই প্রকল্পের জাতীয় গুরুত্ব অপরসীম। তাই সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করা যাবে না বলে নির্দেশে জানিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এই আবদনের পশ্চাতে স্বার্থ জড়িত। এ জন্য আবেদনকারীদের ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কোভিড আবহে সেন্ট্রাল বিস্তার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। অবিলম্বে প্রকল্পের নির্মাণ বন্ধে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারির জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে মামলা দায়ের করেছিলেন আনিয়া মালহোত্র এবং সোহেল হাশমি। সেই আবেদনই খারজি করে দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং জ্যোতি সিংয়ের বেঞ্চ ১৭ মে এই মামলার শুনানি শেষ করে। সেদিন বলা হয়েছিল ৩১ মে ঘোষণা হবে রায়। নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, দেশবাসীর কাছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের গুরুত্ব রয়েছে। তাই এর নির্মাণ কাজ বিচ্ছিন্নভাবে দেখা উচিত নয়। রায়ে বলা হয়েছে, 'প্রকল্পে কাজে যুক্ত শ্রমিকরা যেহেতু নির্মাণস্থলে রয়েছেন তাই সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের কাজে স্থগিতাদেশ জারির কোনও প্রশ্ন নেই।' দিল্লি হাইকোর্টের সংযোজন, এর আগে ১৯ এপ্রিল এর আগে ডিডিএমএ-র নির্দেশেও প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: নদীতে মৃতদেহ ফেলার ঘটনা মিডিয়ার ‘ইচ্ছাকৃত’ খবর! দাবি সঙ্ঘের
কেন্দ্র আগেই দাবি করেছিল যে, এই মামলা প্রকল্প ভেস্তে দেওয়ার অভিসন্ধি। যদিও পাল্টা সওয়াল-জবাবে আবেদনকারীদের দাবি ছিল, তাঁরা নির্মাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
কোভিডে বিপর্যস্ত দেশ, কিন্তু তার মধ্যেই জোরকদমে চলছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ। নয়া সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর নয়া বাসভবন নির্মাণের এই প্রকল্পে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হচ্ছে। সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মানে স্থগিতাদেশের জন্য আগেই আবেদন জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কেন এই সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে তাড়াহুড়ো তা নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিনীত সরণ এবং দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ মামলাকারীকে পরামর্শ দেয়, এই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হোক। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টকেও দ্রুত এই মামলার শুনানির জন্য আবেদন করে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন