পিএম কেয়ার্স তহবিল মামলায় বিপাকে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। আদালতের কাছে পিএম কেয়ার্স নিয়ে মাত্র একপাতার হলফনামা দিয়েছে কেন্দ্র। তার প্রেক্ষিতে আদালতে চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল মোদী সরকারকে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, পিএম কেয়ার্স নিয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে। ওই রকম একপাতার হলফনামা চলবে না। নতুন করে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহের সময়সীমাও ধার্য করে দিয়েছেন বিচারপতিরা। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর।
দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি সুব্রহ্মমনিয়ম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রের সমালোচনা করে জানিয়েছে, 'এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে আপনারা মাত্র একপাতার একটা হলফনামা জমা দিয়েছেন। প্রবীণ আইনজীবীরা যা অভিযোগ করেছেন, সেনিয়ে কিছুই বলা নেই। অভিযোগকারীর প্রতিটি অভিযোগের জবাব নতুন হলফনামায় থাকতে হবে। আমরা তেমনই নির্দেশ দিচ্ছি।'
পিএম কেয়ার্স নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে এই মামলাটি করেছেন প্রবীণ আইনজীবী সাম্যক গাঙ্গোয়াল। তিনি অভিযোগ করেছেন, ২০২০ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পিএম কেয়ার্স তহবিল গঠন করেন। করোনা আক্রান্ত পরিবারগুলোকে সাহায্যের মহৎ লক্ষ্যে এই তহবিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা হয়।
আরও পড়ুন- জয়ললিতার পার্টিতে কোন্দল চরমে, দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়ে টানাটানি দুই গোষ্ঠীর
এরপর, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে পিএম কেয়ার্সের গঠন নিয়ে ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশিত হয়। কিন্তু, সেখানে জানা যায় যে এই তহবিল সংবিধান সম্মতভাবে বা সংসদের কোনও বিধি মেনে তৈরিই হয়নি। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছিল, পিএম কেয়ার্সের তহবিল ভারত সরকারের নয়। আর, এর অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা পড়েনি।
প্রধানমন্ত্রী দফতরের সচিব প্রদীপকুমার শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, যেহেতু পিএম কেয়ার্স কোনও সরকারি তহবিল না। সেই কারণে তথ্যের অধিকার আইনে এই ব্যাপারে জানানোর দায়িত্ব সরকারের ঘাড়ে পড়ে না। কিন্তু, এতে আবার প্রশ্ন ওঠে, সরকারি পদাধিকারীরা বা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা এভাবে বেসরকারি তহবিল তৈরি করতে পারেন কি না। অথবা, সেই তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন কি না। সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
Read full story in English