ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ, দিল্লিতে বন্ধ হল রেস্তরাঁ-পানশালার দরজা

নির্দেশিকার জেরে মাথায় হাত পড়েছে বার-রেস্তরাঁ মালিকদের।

নির্দেশিকার জেরে মাথায় হাত পড়েছে বার-রেস্তরাঁ মালিকদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফের জেরে রাজধানী দিল্লিতে বন্ধ হল রেস্তোরাঁ-পানশালার দরজা।

ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফের জেরে রাজধানী দিল্লিতে বন্ধ হল রেস্তরাঁ-পানশালার দরজা। এবার থেকে শুধুমাত্র হোম ডেলিভারি বা বাড়ি নিয়ে গিয়ে খাবার খাওয়ার অনুমতি মিলেছে। দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। তবে এই নির্দেশিকার জেরে মাথায় হাত পড়েছে বার-রেস্তরাঁ মালিকদের। অতিমারিতে বিরাট ধাক্কার সম্মুখীন তাঁরা।

Advertisment

উল্লেখ্য, করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও বন্ধ হয়েছিল রেস্তরাঁ-পানশালার দরজা। তখনও শুধুমাত্র হোম ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া হয়। তার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই ৫০ শতাংশ কর্মী-গ্রাহক এবং সময় বেঁধে ফের চালু হয় রেস্তরাঁ-পানশালাগুলি। কিছুটা লাভের মুখ দেখছিলেন মালিকরা। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ফের বন্ধ হল রেস্তরাঁ-পানশালা।

সোমবার দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বাইজাল টুইট করে জানান, "সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি, সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি রেস্তরাঁ-পানশালাগুলিতে শুধুমাত্র টেক অ্যাওয়ে পরিষেবা চালু থাকবে। বসে খাওয়া আপাতত বন্ধ।" এতে রেস্তরাঁ-পানশালার মালিকদের মাথায় হাত। লোকসানের কথা ভেবে তাঁদের মন ভেঙেছে।

Advertisment

আরও পড়ুন তৃতীয় ঢেউয়ে ৫-১০% চিকিৎসাধীন! তবে অসতর্ক হলেই বিপদ: কেন্দ্র

জাতীয় রেস্তরাঁ সংগঠনের সভাপতি কবীর সুরি জানিয়েছেন, "নয়া গাইডলাইন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানে গভীর প্রভাব ফেলবে। দিল্লির রেস্তরাঁ-পানশালাগুলিতে এত সংখ্যক মানুষ কাজ করে। তাঁদের রুটি-রুজিতে টান পড়বে। এই বেকারত্ব দীর্ঘায়িত হবে কারণ কতদিন এভাবে চলবে আমরা কেউ জানি না।" তিনি জানিয়েছেন, গত বছর প্রায় ২৫ শতাংশ রেস্তরাঁ বন্ধ হয়েছিল, যার ফলে ২৪ লক্ষ মানুষ কাজ হারান।

তিনি আরও জানিয়েছেন, "দিল্লিতে রেস্তরাঁয় খেতে আসা মানুষের সংখ্যা দেশের মধ্যে অনেক বেশি। গোটা দেশে যা ৪.৫ বার প্রতি মাসে, তা দিল্লিতে প্রায় মাসে ৬ বারের বেশি। এখানে হোম ডেলিভারি বা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাওয়ার গ্রাহকের সংখ্যা ন্যূনতম।"

delhi coronavirus restaurants