ফের খুলছে দিল্লির মারকাজ নিজামুদ্দিন। প্রায় দু'বছর পরে আসন্ন শব-এ-বরাত উপলক্ষে এই মসজিদে নমাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (ডিডিএ) নির্দেশিকা অনুযায়ী চারতলা এই মসজিদের প্রতি তলায় মাত্র ১০০ জনকে প্রার্থনার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এখনই বিদেশি কোনও নাগরিক দিল্লির এই মসজিদে ঢুকতে পারবেন না।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শব-এ-বরাতের এক দিন আগে দুপুর ১২টায় মসজিদের চারটি তলাই আবার খুলে দেওয়া হবে। শব-এ-বরাতের পরের দিন বিকেল ৪টেয় ফের বন্ধ হবে মসজিদ। দিল্লি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বা করোনার উপসর্গ নেই এমন ব্যক্তিদেরই মসজিদে ঢোকার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে বিদেশিদের মারকাজ প্রাঙ্গনে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। এমনকী মসজিদটি পুনরায় খোলা হলেও সেই সময়কালের মধ্যে কোনও "তাবলিগি কার্যকলাপ"-এও অনুমোদন দেওয়া হবে না।
এরই পাশাপাশি হজরত নিজামুদ্দিন থানা দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডকে চিঠিতে জানিয়েছে, বিদেশি বংশোদ্ভূত ভক্তরা বা ওসিআই কার্ডধারীরা মসজিদে নামাজ পড়তে চাইলে ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে তাঁদের পরিচয় বিবরণ অর্থাৎ তাঁর পাসপোর্ট/ওসিআই কার্ডের ফটোকপি-সহ অন্য যেকোনও সচিত্র পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেওয়া হবে। এসএইচও-র কাছে তা জমা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- রাজ্য রাজনীতিতে নয়া মডেল ‘খড়ার’! পদ্মের সমর্থনে জোড়া-ফুলের চেয়াম্যান
ভক্তদের রেকর্ড নথিভুক্ত করতে মসজিদের মূল প্রবেশদ্বারে পৃথক একটি রেজিস্টার থাকবে। গোটা মসজিদের পাশাপাশি ঢোকা ও বেরনোর গেটেও সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানানো হয়েছে। মসজিদ প্রাঙ্গনের ভিতরে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। পুনরায় মসজিদ খোলার সময় সব কর্মকাণ্ডই রেকর্ড করা হবে। মসজিদের সব কার্যকলাপের ফুটেজ স্টেশন হাউস অফিসারের (এসএইচও) কাছে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কেন্দ্র আদালতকে জানায় মসজিদের প্রথম তলা সাধারণ জনগণের প্রার্থনার জন্য খোলা যেতে পারে। তবে এই উদ্দেশ্যে সব ফ্লোর ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের আইনজীবী। এরপর গত শুক্রবার আদালত পাল্টা জানায়, মসজিদের প্রথম তলায় নামাজের অনুমতি দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সমস্যা না থাকলে, অন্য ফ্লোরেও কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়। আদালতের সেই পর্যবেক্ষণের পরেই এবার নয়া সিদ্ধান্ত দিল্লি পুলিশের।