বড়দিনের আগে রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর র্যালিতে প্রথমবারের জন্য ব্যবহার করা হল 'ফেশিয়াল রেকগনিশন সফটওয়ার'। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল হয়েছিল দিল্লি। প্রতিবাদের সেই সব ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তা থেকে প্রতিবাদীদের মুখ চিহ্নিতকরণের কাজ প্রথমবারের জন্য করল দিল্লি পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্যই এমন ব্যবস্থা, যাতে প্রতিবাদীরা ভিড়ে মিশে থাকলে সহজেই তাঁদের চিহ্নিত করা যায়।
জনসমাবেশের গুরুত্ব বুঝে ব্যবহার করা এই পদ্ধতি
নিখোঁজ বাচ্চাদের সম্পর্কিত একটি মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের আদেশের পরই ২০১১ সালের মার্চ মাসে দিল্লি পুলিশ মার্চ নিখোঁজ ব্যক্তিদের সনাক্ত করার সরঞ্জাম হিসাবে অটোমেটেড ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম (এএফআরএস) সফটওয়ারের ব্যবহার শুরু করেছিল। ২২ ডিসেম্বরের আগে মাত্র তিনবার ব্যবহার করা হয়েছিল এই এএফআরএস সিস্টেমটি। দু'বার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এবং একবার প্রজাতন্ত্র দিবসে। সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশ এখন পর্যন্ত রুটিন অপরাধ তদন্তের জন্য দেড় লক্ষেরও বেশি ফোটো এই পদ্ধতির মাধ্যমে সংগ্রহ করে একটি ফটো ডেটাসেট তৈরি করেছে। পাশাপাশি প্রায় ২ হাজারটি জঙ্গি সন্দেহভাজনদের ছবি দিয়ে আরেকটি ডেটাসেটও তৈরি করা হয়েছে।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ মিছিলে ড্রোন ব্যবফার করে তোলা হয় ছবি
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে শহরজুড়ে চলা বিক্ষোভগুলিরও ভিডিও করে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লি পুলিশ শহরে বড় ধরনের প্রতিবাদ হলে এই ভিডিও পদ্ধতি অবলম্বন করে। তবে এই এএফআরএস পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই সনাক্তকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব। সূত্রের খবর, গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের বাইরে স্লোগান তোলা বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিতকরণের কাজে এই পদ্ধতি প্রথমবারের জন্য ব্যবহার করে রাজধানীর পুলিশ। নমোর র্যালিতে সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "যারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের ছবি ক্যামেরায় তুলে রাখা হয়েছে যখন তাঁরা মেটাল ডিটেক্টরের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। লাইভ ফিডের সঙ্গে পাঁচ সেকেন্ডেরও কম সময়ে কন্ট্রোল রুম থেকে সেই ছবি আমাদের ডেটা সেট থেকে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়েছে।"
আরও পড়ুন: পুষ্পস্তবকে পাক নাগরিকদের অভ্যর্থনা বিজেপির
মূলত এই টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে, এমনটাই মত দিল্লি পুলিশের। এখনও পর্যন্ত এএফআরএসের যে ভার্সন আছে সেখানে একবারে ৩ লক্ষ মুখের ডেটা বেস করা আছে, তবে আগামীতে তা ৯ লক্ষ করার ভাবনায় আছে রাজধানীর পুলিশ।
Read the full story in English