হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনায় ধৃত বেড়ে ২৩। ধৃতদের মধ্যে ২ জন নাবালক। দাঙ্গা বাঁধানো ও বেআইনিভাবে জমায়েতের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন যিনি একটি মোবাইল ফোন সারানোর দোকানে কাজ করেন, তিনিই প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। তার অপরাধমূলক কাজের রেকর্ডও রয়েছে। এদিকে জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনায় সাতজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ এক পুলিশ কর্মী।
গুলিবিদ্ধ সাব-ইন্সপেক্টর মেদা লাল মীনা হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেছেন, "পুলিশ যদি সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে না পৌঁছাত এবং নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন না করত তা হলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ত বহুগুণে"।
মিনা ১৯৯৩ সাল থেকে দিল্লি পুলিশে কর্মরত। অনেক ঘটনার সাক্ষী থেকে তার এই কর্ম জীবনে। তিনি জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনায় বাঁ হাতে গুলি খেয়ে এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানান হয়েছে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে মিনা বলেন, "মিছিলটি ৪ টে নাগাদ শুরু হয়েছিল, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সি ব্লকের কাছে একটি মসজিদের সামনে মিছিল পৌঁছালে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে মিছিলটি মসজিদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। আমি পিছনের সারিতে ছিলাম, তাই আমি জানি না সংঘর্ষের কারণ কী, পুলিশের তরফ থেকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে উভয় সসম্প্রদায়ের মানুষকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল,” ।
আরও পড়ুন: হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর দায়ে বাতিল ২ হাজারের বেশি লাইসেন্স
তাঁর কথায়, "এই ঘটনার কিছু সময় পরে এলাকা শান্ত হয়ে গিয়েছিল, কিছু সময় পরে একদল লোক রড, তলোয়ার নিয়ে ছুটে আসে। ব্যাপক পাথর ছুঁড়তে শুরু করে পুলিশের ওপর। এরপরই শুরু হয় মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার ঘটনা, প্রায় ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়, আমার হাতে গুলি লাগে। পাশাপাশি তিনি পুলিশের ভুমিকার প্রশংসা করে বলেন, সেদিন পুলিশ যদি তৎপর না হত তাহলে আরও হতাহতের ঘটনা ঘটত"।
Read full story in English