জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় দিল্লি আদালতে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’(এটিআর) পেশ করল দিল্লি পুলিশ। হিংসা দমন করতে বাধ্য হয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দিল্লি পুলিশ ঢুকেছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে আটকে পড়া নিরপরাধ পড়ুয়াদের রক্ষার্থেই দিল্লি পুলিশ এহেন পদক্ষেপ করেছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় জামিয়া মিলিয়া কর্তৃপক্ষ। পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আর্জি জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। এই প্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশকে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রজত গোয়েল।
আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে বিমানে করোনা আক্রান্ত! হুলুস্থুল বিমানবন্দরে
আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী আসঘর খান। আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অকারণে মারধর করেছে পুলিশ। পড়ুয়াদের উদ্দেশে বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে, কোনও কারণ ছাড়াই মেন লাইব্রেরির গেট ভেঙেছে পুলিশ। বিনা কারণে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উচ্চতর বেঞ্চে সিএএ বিরোধী পোস্টার মামলা, নয়া আইন আনতে চলেছে যোগী সরকার
জামিয়া মিলিয়া কর্তৃপক্ষের তরফে এও জানানো হয়েছে যে, সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভিডিও ও ছবিতে দেখা গিয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি নষ্ট করছে পুলিশ। যদিও দিল্লি পুলিশের এটিআরে দাবি করা হয়েছে, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে আলো নষ্ট করেছে হামলাকারীরা। নিরীহ পড়ুয়া ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করা মুশকিল ছিল সেসময়’’।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন