পুলিশকে গুলি পুলিশের! এমন কাণ্ডই ঘটেছে রাজধানীতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রোহিণী(পূর্ব) মেট্রো স্টেশনের সামনে সাব ইন্সপেক্টর প্রীতি অহলওয়াতকে গুলি করে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই সহকর্মী দিল্লি পুলিশের এসআই দীপাংশু রাঠির বিরুদ্ধে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় হরিয়ানার সোনিপত থেকে গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দীপাংশুর দেহ। প্রীতিকে হত্যা করার পর দীপাংশু আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে দীপাংশুকে চিহ্নি করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মেট্রো স্টেশন থেকে বেরোনোর পরই প্রীতিকে ধাওয়া করেছিলেন দীপাংশু। এরপরই খুব কাছ থেকে গুলি চালান তিনি। এ ঘটনার পরই দীপাংশুর মোবাইল লোকেশন দেখে তাঁর খোঁজ পায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলছে দিল্লিতে সরকার গড়বে বিজেপিই’
এ প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘‘ভোর ৩টের সময় আমরা জানতে পারি দীপাংশু মুর্থল এলাকার কাছে রয়েছেন। সেখানে গিয়ে আমরা দেখি, নিজের গাড়িতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দীপাংশু। দু’জনের পরিবারকেই খবর দেওয়া হয়েছে। ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে আমরা দেখছি’’।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে ডিসিপি (উত্তর-পূর্ব) বেদপ্রকাশ সূর্য জানান, ভাজানপুরা থানায় কর্মরত চিলেন দীপাংশু রাঠি। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৮ ব্যাচের সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন প্রীতি অহলওয়াত রোহিণীর সেক্টর ৮ এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ স্টেশন থেকে বেরোন প্রীতি। সেই সময় পুলিশের উর্দি পরেছিলেন না প্রীতি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরই প্রীতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন