আগের সব রেকর্ড ভেঙে এবার সর্বাধিক দূষণের সাক্ষী দিল্লি।
আগের সব রেকর্ড ভেঙে এবার সর্বাধিক দূষণের সাক্ষী দিল্লি। মনে হচ্ছে, গোটা শহরটাকে যেন ধূসর ধুলোর চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবারও গুণমান সূচক ছিল ৫০০-এর কাছাকাছি। দূষণে দৃশ্যমানতার অভাবে ৩৭টি বিমানের পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। রাজধানীর পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই অবস্থায় রবিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পর্যালোচনা বৈঠক হয়। এক বিবৃতিতে পিএমও জানিয়েছে, ক্যাবিনেট সচিব দিল্লি সহ তিন রাজ্যের দূষণের অবস্থার উপর নজর রেখেছেন। তিনিই বিষয়টি দেখভাল করবেন। তিন রাজ্যের মুখ্যসচিবদেরও গুরুত্বসহকারে এই বিষয়ে নজরদারির কথা বলা হয়েছে।
Advertisment
দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার 'হেল্থ আ্যাডভাইজারি' জারি করেছে। সেখানে দিল্লিবাসীকে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরের কাজ করার প্রয়োজন নেই। মুখে যেন এন-৯৫ মাক্স পড়া হয়। আজ থেকে ফের দিল্লিতে জোড়-বিজোড় নীতিতে গাড়ি চলতে শুরু করেছে। যা বলবৎ থাকবে আগামী ১৫ই নভেম্বর পর্যন্ত।
পরিবেশ সচিব সি কে মিশ্রা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, 'দিল্লি, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের প্রশাসনকে পুরো বিষয়টি কড়া হাতে নজরদারি করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সরকারকে বলা হয়েছে নির্মাণ শিল্পে পরিবেশ আইন ভাঙা হলে কড়া অর্থিক জরিমানা করতে। শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন সামগ্রী পোড়ানো বন্ধ করতে বলা হয়েছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারকে বলেছি গ্রামে গ্রামে সরকারি কর্মীদের পাঠিয়ে পরিস্থিতি দেখতে ও কৃষকদের সচেতন করতে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে নজরদারির জন্য পুলিশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।'
দীপাবলির পরে দিল্লির দূষণ মাত্রাছাড়া আকার নেয়। গত শুক্রবার সেখানে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হয়। রবিবার দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক সকাল থেকেই ছিল উর্ধ্বমুখী। একসময় যা ৬০০ ছাড়িয়ে যায়। বাতাসের গুণমান সূচক(একিউআই) ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে গ্রহনযোগ্য বলে মনে করা হয়। ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে একিউআই থাকলে তা সন্তোষজনক। ১০০ থেকে একিউআই মন্দের ভালো। কিন্তু, তা পেরিয়ে গেলে সেই বাতাস স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক বলে মনে করা হয়। শুক্রবার দিল্লির বাতাসের বাতাসের গুণমান সূচক ৫০০। যা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মারাত্মক। বড়দের ফুসফুসের সমস্যা দেখা গিতে পারে। এই অবস্থা সবচেয়ে হানিকর শিশুদের জন্য। ইতিমধ্যেই দিল্লি সহ নয়ডা, গাজিয়াবাদের স্কুল বন্ধ রয়েছে।