দাঙ্গাকারীই পুলিশে গিয়েছিল দাঙ্গার শিকার বলে

তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজের সন্ধান পায়, যাতে দেখা যায় সোনি ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২.৫০-এ ব্রহ্মপুরীর ১৩ নং গলির সামনে একটি দঙ্গলের সঙ্গে হাতে তলোয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজের সন্ধান পায়, যাতে দেখা যায় সোনি ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২.৫০-এ ব্রহ্মপুরীর ১৩ নং গলির সামনে একটি দঙ্গলের সঙ্গে হাতে তলোয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Delhi Riot, CAA

জঙ্গিযোগ সন্দেহে এক কলেজ ছাত্রীকে গ্রেফতার করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।

২৬ বছরের বেসরকারি এক ক্যাব চালক নর্থইস্ট জেলা পুলিশের কাছে গিয়ে জানিয়েছিল, সে দাঙ্গার শিকার। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সে ব্রহ্মপুরী এলাকায় হাতে তলোয়ার নিয়ে পাথর ছুড়ছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisment

পুলিশ জানিয়েছে, ব্রহ্মপুরীর বাসিন্দা সুরেন্দ্র সোনি ২০১৩ সালে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল।  এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "২৫ ফেব্রুয়ারি ওই ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে জানায়, বাড়ি যাবার পথে একটি দল তার উপর হামলা করে, এবং তার বাঁহাতে গুলি লাগে। নিউ উসমানপুর থানায় হত্যার চেষ্টার অভিযোগে একটি এফআইআর-এ দায়ের হয়।"

তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজের সন্ধান পায়, যাতে দেখা যায় সোনি ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২.৫০-এ ব্রহ্মপুরীর ১৩ নং গলির সামনে একটি দঙ্গলের সঙ্গে হাতে তলোয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

তার পাশে দাঁড়ানো অন্যরা অন্য একটি দঙ্গলের দিকে গুলি চালাচ্ছে ও পাথর ছুড়ছে দেখা গিয়েছে ফুটেজে। ওই দঙ্গলটিও পাল্টা গুলি চালাচ্ছিল।

Advertisment

পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "সোনিকে ফের পুলিশ জেরা করে এবং তাকেও ওই ফুটেজ দেখায়। সে তার অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। এরপর সে দাবি করে, রাস্তার অন্যদিকে লোকজন জড়ো হয়েছিল সে কারণে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের সাহায্য করতে গিয়েছিল এবং আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে ও পাথর ছুড়েছে।"

আরও পড়ুন: পিতা পুত্রের পুনর্মিলন, ফারুকের আলিঙ্গনে বন্দি ওমর

পরে পুলিশ ২২ বছরের যুবক নাসির ওরফে আরবাজকেও গ্রেফতার করে। তাকে ওই ফুটেজে দেশি পিস্তল থেকে বেশ কয়েকরাউন্ড গুলি চালাতে দেখা গিয়েছিল।

ইতিমধ্যে বিশেষ তদন্ত দল ১০ মহিলা সহ ১৫ জনের একটি দলকে চিহ্নিত করেছে, যারা ডিসিপি অমিত শর্মা, এসিপি অনুজ কুমার ও ৬০ জন পুলিশ কর্মীকে আক্রমণ করেছিল বলে অভিযোগ।

এক বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক বলেন, "ওই ১৫ জনের মধ্যে পাঁচজন উত্তরপূর্ব দিল্লির বিভিন্ন থানায় নথিভুক্ত অপরাধী। এদের গ্রেফতারির জন্য আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি। আমরা মহিলাদেরও চিহ্নিত করে তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছি, জানা গিয়েছে এরা যেখানে রতন লালকে গুলি করে মারা হয়েছিল, সেই এলাকায় ক্যা বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।"

আইবির কর্মী অঙ্কিত শর্মা হত্যাকাণ্ডে পুলিশ আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এ সপ্তাহের গোড়ায় ফোনে আড়ি পেতে গ্রেফতার করা হয়েছে সলমন ওরফে হাসিনকে। তার সঙ্গে অঙ্কিত হত্যার যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।