সাত মাসের ব্যবধানে ফের দেখা পিতা-পুত্রের। শনিবার ফারুখ আবদুল্লা দেখা করলেন জনসুরক্ষা আইনে বন্দি পুত্র ওমরের সঙ্গে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে শুক্রবারই মুক্তির কথা ঘোষণা করে রাজ্য প্রশাসন। ওই দিনই ওমরের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন তিনি। প্রশাসনের অনুমতির ভিত্তিতে এদিন শ্রীনগরের সাব জেলে গিয়ে দেখা করেন। একে অপরকে দেখেই বাবা-ছেলে দু'জন দু'জনকে জড়িয়ে ধরেন।
14, 2020
ফারুক আবদুল্লা বলেন, 'আমি আজ মুক্ত। আমার আনন্দের ভাষা নেই। আমি এখন দিল্লিতে গিয়ে সংসদে যেতে পারব ও উপত্যকার মানুষের কথা তুলে ধরবো।' মুক্তির পর শ্রীনগরের সাংসদ ৮২ বছরের নেতা জানিয়েছিলেন, 'যাঁরা আমাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।' তাঁর সংযোজন, 'আমাদের স্বাধীনতা তখনই সম্পূর্ণ হবে যখন ভূস্বর্গের সব বন্দি নেতা-নেত্রীকে মুক্ত করা হবে। আশা করি এই বিষয়ে কেন্দ্র সদর্থক ভূমিকা পালন করবে।'
আরও পড়পন: উচ্চতর বেঞ্চে সিএএ বিরোধী পোস্টার মামলা, নয়া আইন আনতে চলেছে যোগী সরকার
গত ৫ই অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পর্যবসিত করার কথাও ঘোষণা করা হয়। এরপরই ভূস্বর্গজুড়ে নিরাপত্তা কড়া হয়। অশান্তি এড়াতে বন্দি করা হয় ফারুক ও ওমর আবদুল্লা ও মেহেবুবা মুফতি সহ জম্মু-কাশ্মীরের শতাধিক রাজনৈতিক নেতা, কর্মীকে। ১৫ই সেপ্টেম্বর ফারুককে জনসুরক্ষা আইনে বন্দি করা হয়। পরে তার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় ডিসেম্বরে। সাত মাস পর ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়া হলেও এখনও বন্দি রয়েছেন অপর দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহেবুবা মুফতি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন